মহালছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে গতকাল ৮ মাসের একটি বাচ্চার মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ মহালছড়ি বাজার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল হতে সহল প্রকার ওষুধ ক্রয় ও বিক্রয় আধাবেলা বন্ধ রেখেছে ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা।
এজাহার সূত্রে অভিভাবক জানায়, বাচ্চাটির ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য গতকাল সন্ধ্যা ৬.০০ঘটিকায় মহালছড়ি বাজারের উষা ফার্মেসীর পল্লী চিকিৎসক ও মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার স্বপন চক্রবর্তীর নিকট চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে স্বপন চক্রবর্তী বাচ্চাটিকে প্রথমে নেবুলাইজার দ্বারা গ্যাস প্রদান করে। নেবুলাইজ করার পর একটি ইনজেকশন পুশ করে। পরবর্তীতে বাচ্চাটির অবস্থা অবনতি ঘটলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাচ্চাটিকে মৃত ঘোষণা করে।
পরে উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে মৃত বাচ্চা ও পল্লী চিকিৎসক স্বপন চক্রবর্তীকে থানার হেফাজতে নিয়ে যায় মহালছড়ি থানা পুলিশ।
রাত ১২.০০ঘটিকায় পল্লী চিকিৎসক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার স্বপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মহালছড়ি থানায় উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পিতা মোঃ আমিনুল ইসলাম।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর পিতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী চিকিৎসক স্বপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ৩০৪/ক ধারায় মামলা রজু করে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, যে বাচ্চাটি ৫নং ওয়ার্ডের চৌংড়াছড়ি গুচ্ছ গ্রাম এলাকার সিএনজি চালক মোঃ আমিনুল ইসলামের ৮ মাস বয়সী মেয়ে আয়েশা।
পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন চক্রবর্তী ঊষা ফার্মেসীর মালিক ও বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি পদে রয়েছেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, মহালছড়ি উপজেলা শাখার পল্লী চিকিৎসকগণের পক্ষে এক পল্লী চিকিৎসক জানান চলমান বিষয়ের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত স্বাপেক্ষে সংহতি জানিয়ে ডাক্তার বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন চক্রবর্তীকে খাগড়াছড়িতে দেখতে যাবেন, তাই মহালছড়ি বাজার ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে সকল প্রকার ওষুধ ক্রয় ও বিক্রয় আধাবেলা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা। ওষুধের ফার্মেসী দোকান বন্ধ থাকায় বাজারের সাধারন জনগণ ও স্থানীয় রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।