রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ
জাতীয়তাবাদী দলের শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন যুবদলের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আনন্দঘন পরিবেশে যুব কর্মীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়নে বর্ণাঢ্য র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় চিৎমরম ইউনিয়ন শাখা যুবদলের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের হয়ে চিৎমরম বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চিৎমরম বাজারে এসে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুরুতে, পবিত্র তেলাওয়াত, ত্রিপটক পাঠ ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
যুবদল চিৎমরম ইউনিয়ন শাখা আহবায়ক মংচউ মারমা সভাপতিত্বে ও হ্লাসুই মং মারমা সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, কাপ্তাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সুমন মারমা, চিৎমরম ইউনিয়ন শাখা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোবারক হোসেন মামুন ও ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব মোঃ মুন্না। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা যুবদল আহবায়ক মো: জাহেদুল ইসলাম ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব ইব্রাহিম হাবিব মিলু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চিৎমরম ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চিৎমরম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উথোয়াইমং মারমা, চিৎমরম ইউনিয়ন সিনিয়র সহসভাপতি আবু সৈয়দ, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মোঃ ইউসুফ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খ্যাইমংউ মারমা, উপজেলা কৃষক সাংগঠনিক সম্পাদক উহ্লাচিং মারমা, চিংমরম ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি থুইসাচিং মারমা, উপজেলা যুবদল সদস্য মোঃ নাজমুল,যুবদল যুগ্ন আহবায়ক উবাচিং মারমা, ইউনিয়ন যুবদল সদস্য কংহ্লাচিং মারমা, যুগ্ম আহ্বায়ক থুইসাচিং মারমা, মংপ্রুসে মারমা, দুংচিং মং মারমা, সাচিংহ্লা মারমা, মোঃ জাহাঙ্গীর, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মিলন,আজিজুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবুল বশর, সনজয় তংঞ্চঁঙ্গ্যা, সন্তোস তংঞ্চঁঙ্গ্য, সোহেল তংঞ্চঁঙ্গ্যা, মোঃ আব্দুল শুক্কুর সহ আরো অনেকে। বর্ণাঢ্য র্যালিটিতে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডসমূহের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, কাপ্তাই উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে তাদের মন জয়ের আহ্বান জানান। বক্তারা আরও বলেন, যুবদল সব সময় মানুষের পাশে রয়েছে। যুবদলের কেউ কোনো অনৈতিক কাজ কিংবা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তা বরদাস্ত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিএনপির মতো যুবদলেরও ‘জিরো টলারেন্স নীতি’। যেকোনো মূল্যে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যুবদল বদ্ধপরিকর। লড়াই সংগ্রামে অর্জিত বিজয়কে সংহত করতে না পারলে আবারো নব্য ফ্যাসিবাদ হাজির হবে। তাই যুবদলের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি রুখে দিতে হবে। যুবদল সমস্ত অন্যায় সন্ত্রাস প্রতিহত করবে, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেবে না। পরিশেষে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।