Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর পূর্ণ-চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সংশোধনের দাবি খাগড়াছড়িতে পিসিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

print news

 

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড় প্রতিনিধিঃ

 

বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ সংশোধনের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি)’র জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ঘটিকার সময় জেলা সদরের এফএনএফ রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, পিসিএনপি’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাংবাদিক মোক্তাদির হোসেন প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে উপজাতিরা। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে খুনি সন্তু লারমা ও তার স্ব-জাতিরা। ২৭ বছরে সৃষ্টি হয়েছে উপজাতি ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মাঝে বৈষম্যের পাহাড়, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ৬ টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা নিয়মিত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিতে নিয়োজিত রয়েছে। তারা বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায়ই ২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। জেএসএস সন্তু লারমা নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালের ৩১ মে বরকল ভূষণছড়ায় ঘুমন্ত প্রায়ই ৭০০ (সাত শত) বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করে, ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, তবলছড়ি, গৌরাঙ্গ বাজার, পানছড়ি, লোগাং, খাগড়াছড়ি সদরে হাজারো বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করেছে। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দাওয়াতের নাম করে পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ৩৫ কাঠুরিয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। জেএসএস, ইউপিডিএফ,  কেএনএফ সহ উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো কতৃক এই পর্যন্ত প্রায়ই ৪০ হাজার বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা আমার দেশের গর্বীত প্রায়ই ৪শত সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী সহ মোট ৬২০ জনের মতো পুলিশ, আনসার বাহিনীকে হত্যা করে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি পূর্বশর্ত ছিলো উপজাতি সম্প্রদায়ের নিকট কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা কিন্তু গত ২৭ বছরে তাদের নিকট আরও অনেক ভারী অস্ত্র এসেছে যা দিয়ে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব-তিমূর এবং দক্ষিণ সুদানের মতো আলাদা একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

 

আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন চাই এবং অতিদ্রুত এখানে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই ক্ষেত্রেও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন বা চেয়ারম্যানের সমপরিমাণ ক্ষমতা দিয়ে একজন বাঙালি ভাইস চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া। পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এটিও চরম বৈষম্য। পার্বত্য উপদেষ্টায় যে কোন জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়া যেতো সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বাঙালী জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে উপজাতিদের আধিপত্য সবজায়গা। এই ক্ষেত্রেও বাঙালিদের থেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঙালি প্রতিনিধি থাকা উচিত। এই ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মহিলা এমপিও উপজাতিদের থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা খুবই দুঃখ জনক।

 

১৯০০ সালের শাসনবিধির মাধ্যমে উপজাতিরা এককভাবে হেডম্যান, কারবারি, চীফ সার্কেলসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে উপজাতিরা। হাইকোর্ট ১৯০০ সালের শাসন বিধিকে মৃত আইন বলে একটি রায় দিয়েছেন, রিভিউ শুনানিতে থেকে থাকার কারণেই তা আলোর মূখ দেখছেনা। আমরা ইতোমধ্যেই এই আইনকে বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি তিন জেলা ও ঢাকায়। ১৯০০ সালের শাসন বিধি হলো একটি কালো আইন, সংবিধান পরিপন্থী তাই এটি বাতিল প্রয়োজন। ১৬ সংশোধীর মাধ্যমে কালো আইন করা হয়েছে যেমন- রীতিনীতি, প্রথা, পদ্ধতি। হেডম্যান, কারবারি ও কথিত রাজা/ চীফ সার্কেল যা বলবেন তাই আইনে পরিনত হবে এই ক্ষেত্রে ভূমি হারা কোন বাঙ্গালী কোথাও কোন আপিল করতে পারবে না, এই কালো আইন বাতিল করতে হবে। শিক্ষা ও চাকুরী – দীর্ঘ সময় ধরে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা থাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতিরা আজ প্রায়ই ৭৩% শিক্ষিত আর বাঙালিরা মাত্র ২৩% শিক্ষিত। উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটার মাধ্যমে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারে আর বাঙালিরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চাকুরী ক্ষেত্রেও বাঙালিরা বিশাল বৈষম্যের শিকার। কোটার কারণে উপজাতিরা সকল ক্ষেত্রে চাকুরী পায়। আর বাঙ্গালিরা বঞ্চিত, যেনম- তিন জেলা পরিষদ গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই ৮৫ থেকে ৯০% উপজাতিদের নিয়োগ দেওয়া হয়, আর বাঙালিরা ১০ কিংবা ১৫% মতো, তাও সেখানে তারা দারুণ একটা শুভংকরের ফাঁকি দেয়। যেমন- বাঙালি ১৫ জনের মধ্যে হিন্দু, বড়ুয়া সিংহভাগই উন্নয়ন বোর্ডে সবসময়ই উপজাতি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ২০০১ সালে বিএনপি – জামায়াত সরকার গঠন করা হলে সেই সময় খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানেও আমাদের দাবী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যাতে একজন যোগ্য বাঙালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে উপজাতি উর্ধ্বেসিত অঞ্চল ঘোষণা করে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে ।

 

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতারা চুক্তির সাংঘর্ষিক যত ধারা সমূহ আছে সব সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। এসময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি – সম্পাদক সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিধি ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর পূর্ণ-চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সংশোধনের দাবি খাগড়াছড়িতে পিসিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
print news

 

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড় প্রতিনিধিঃ

 

বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ সংশোধনের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি)’র জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ঘটিকার সময় জেলা সদরের এফএনএফ রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, পিসিএনপি’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাংবাদিক মোক্তাদির হোসেন প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে উপজাতিরা। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে খুনি সন্তু লারমা ও তার স্ব-জাতিরা। ২৭ বছরে সৃষ্টি হয়েছে উপজাতি ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মাঝে বৈষম্যের পাহাড়, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ৬ টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা নিয়মিত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিতে নিয়োজিত রয়েছে। তারা বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায়ই ২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। জেএসএস সন্তু লারমা নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালের ৩১ মে বরকল ভূষণছড়ায় ঘুমন্ত প্রায়ই ৭০০ (সাত শত) বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করে, ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, তবলছড়ি, গৌরাঙ্গ বাজার, পানছড়ি, লোগাং, খাগড়াছড়ি সদরে হাজারো বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করেছে। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দাওয়াতের নাম করে পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ৩৫ কাঠুরিয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। জেএসএস, ইউপিডিএফ,  কেএনএফ সহ উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো কতৃক এই পর্যন্ত প্রায়ই ৪০ হাজার বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা আমার দেশের গর্বীত প্রায়ই ৪শত সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী সহ মোট ৬২০ জনের মতো পুলিশ, আনসার বাহিনীকে হত্যা করে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি পূর্বশর্ত ছিলো উপজাতি সম্প্রদায়ের নিকট কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা কিন্তু গত ২৭ বছরে তাদের নিকট আরও অনেক ভারী অস্ত্র এসেছে যা দিয়ে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব-তিমূর এবং দক্ষিণ সুদানের মতো আলাদা একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

 

আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন চাই এবং অতিদ্রুত এখানে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই ক্ষেত্রেও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন বা চেয়ারম্যানের সমপরিমাণ ক্ষমতা দিয়ে একজন বাঙালি ভাইস চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া। পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এটিও চরম বৈষম্য। পার্বত্য উপদেষ্টায় যে কোন জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়া যেতো সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বাঙালী জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে উপজাতিদের আধিপত্য সবজায়গা। এই ক্ষেত্রেও বাঙালিদের থেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঙালি প্রতিনিধি থাকা উচিত। এই ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মহিলা এমপিও উপজাতিদের থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা খুবই দুঃখ জনক।

 

১৯০০ সালের শাসনবিধির মাধ্যমে উপজাতিরা এককভাবে হেডম্যান, কারবারি, চীফ সার্কেলসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে উপজাতিরা। হাইকোর্ট ১৯০০ সালের শাসন বিধিকে মৃত আইন বলে একটি রায় দিয়েছেন, রিভিউ শুনানিতে থেকে থাকার কারণেই তা আলোর মূখ দেখছেনা। আমরা ইতোমধ্যেই এই আইনকে বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি তিন জেলা ও ঢাকায়। ১৯০০ সালের শাসন বিধি হলো একটি কালো আইন, সংবিধান পরিপন্থী তাই এটি বাতিল প্রয়োজন। ১৬ সংশোধীর মাধ্যমে কালো আইন করা হয়েছে যেমন- রীতিনীতি, প্রথা, পদ্ধতি। হেডম্যান, কারবারি ও কথিত রাজা/ চীফ সার্কেল যা বলবেন তাই আইনে পরিনত হবে এই ক্ষেত্রে ভূমি হারা কোন বাঙ্গালী কোথাও কোন আপিল করতে পারবে না, এই কালো আইন বাতিল করতে হবে। শিক্ষা ও চাকুরী – দীর্ঘ সময় ধরে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা থাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতিরা আজ প্রায়ই ৭৩% শিক্ষিত আর বাঙালিরা মাত্র ২৩% শিক্ষিত। উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটার মাধ্যমে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারে আর বাঙালিরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চাকুরী ক্ষেত্রেও বাঙালিরা বিশাল বৈষম্যের শিকার। কোটার কারণে উপজাতিরা সকল ক্ষেত্রে চাকুরী পায়। আর বাঙ্গালিরা বঞ্চিত, যেনম- তিন জেলা পরিষদ গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই ৮৫ থেকে ৯০% উপজাতিদের নিয়োগ দেওয়া হয়, আর বাঙালিরা ১০ কিংবা ১৫% মতো, তাও সেখানে তারা দারুণ একটা শুভংকরের ফাঁকি দেয়। যেমন- বাঙালি ১৫ জনের মধ্যে হিন্দু, বড়ুয়া সিংহভাগই উন্নয়ন বোর্ডে সবসময়ই উপজাতি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ২০০১ সালে বিএনপি – জামায়াত সরকার গঠন করা হলে সেই সময় খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানেও আমাদের দাবী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যাতে একজন যোগ্য বাঙালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে উপজাতি উর্ধ্বেসিত অঞ্চল ঘোষণা করে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে ।

 

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতারা চুক্তির সাংঘর্ষিক যত ধারা সমূহ আছে সব সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। এসময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি – সম্পাদক সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিধি ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।