Dhaka , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধের নির্দেশ না মেনেই চলছে নালা খননের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

  • দিপংকর রায়
  • প্রকাশিত: ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮৭৫ বার পড়া হয়েছে
print news

 

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরলের উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের উপর নিয়ে বিয়ে যাওয়া সোনাই নালার সদ্য খনন কয়েক কিলোমিটার অবৈধ ভাবে দুই পাড়ের মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রঘুনাথ পুর গ্রামের উপড় দিয়ে সোনাই নালার বয়ে যাওয়া। সদ্য কয়েক কিলোমিটার খনন সমাপ্ত হওয়ার পরই সোনাই নালার দুই ধারের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এস্কেভেটরের সাহায্যে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ও রফিক। ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান উত্তর রঘুনাথপুর ও রফিক জিনইড় গ্রামের বাসিন্দা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উত্তর রঘুনাথপুর অংশে দুজনেই দুইটি এস্কেভেটর ও প্রায় ২৫/৩০ টি ট্রাকের সাহায্য নিয়ে পাড়ের মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। নালার দুই পাড়ে সব অংশ কেটে পাড়ের জন্য কোন মাটি নেই যা ফসলি জমির সমান করা। এস্কেভেটর ও ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা আনিছুর রহমান ও রফিকের নির্দেশ বা তারাই কাজ করাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কেন অবৈধ ভাবে পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান কৃষকদের উপকার করতে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের অনুমতি নিয়েই তারা এই মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছেন।

আরো খোজ নিয়ে জানা যায় এই মাটি তারা বিভিন্ন ইট ভাটা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন খাল ভরাট করছেন প্রতি ট্রলি ৬০০-৬৫০ টাকা হারে। সংশ্লিষ্ট প্রসাশন কতৃক অনুমতি পত্র আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান নৌ মন্ত্রনালয় ও ইউএনও কাছে অনুমতি নিয়েই তারা এই পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন এবং দাম্ভিকতার স্বরে তারা উল্টো প্রতিবেদককেই ইউএনও ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় এবং বি আই ডাব্লিউটিএর অফিসে যোগাযোগ করার কথা বলেন। তবে অনেক স্থানীয় ও এক মাটি বিক্রেতা স্বীকার করে বলেন অবৈধ ভাবে পাড় কেটে এই মাটি কাটতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী নিজেই বাধা দেওয়ার কারনে নিজে আর মাটি পাড় কাটা ও মাটি বিক্রি করা বন্ধ করেছেন।

IMG 20240111 143115

অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসে যোগাযোগ করলে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি মর্মে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরে তিনি অবৈধ ভাবে পাড় কেটে মাটি বিক্রির বিষয়টি জানতে পারলে তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানান। একদিন বন্ধ থাকার পর আবারো সেই পয়েন্ট গুলোতে একই কার্য্যক্রম চলমান লক্ষ্য করা যায়।

এবিষয়ে আবারো বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পাড় কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।

 

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

বন্ধের নির্দেশ না মেনেই চলছে নালা খননের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

প্রকাশিত: ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
print news

 

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরলের উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের উপর নিয়ে বিয়ে যাওয়া সোনাই নালার সদ্য খনন কয়েক কিলোমিটার অবৈধ ভাবে দুই পাড়ের মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রঘুনাথ পুর গ্রামের উপড় দিয়ে সোনাই নালার বয়ে যাওয়া। সদ্য কয়েক কিলোমিটার খনন সমাপ্ত হওয়ার পরই সোনাই নালার দুই ধারের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এস্কেভেটরের সাহায্যে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ও রফিক। ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান উত্তর রঘুনাথপুর ও রফিক জিনইড় গ্রামের বাসিন্দা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উত্তর রঘুনাথপুর অংশে দুজনেই দুইটি এস্কেভেটর ও প্রায় ২৫/৩০ টি ট্রাকের সাহায্য নিয়ে পাড়ের মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। নালার দুই পাড়ে সব অংশ কেটে পাড়ের জন্য কোন মাটি নেই যা ফসলি জমির সমান করা। এস্কেভেটর ও ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা আনিছুর রহমান ও রফিকের নির্দেশ বা তারাই কাজ করাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কেন অবৈধ ভাবে পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান কৃষকদের উপকার করতে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের অনুমতি নিয়েই তারা এই মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছেন।

আরো খোজ নিয়ে জানা যায় এই মাটি তারা বিভিন্ন ইট ভাটা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন খাল ভরাট করছেন প্রতি ট্রলি ৬০০-৬৫০ টাকা হারে। সংশ্লিষ্ট প্রসাশন কতৃক অনুমতি পত্র আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান নৌ মন্ত্রনালয় ও ইউএনও কাছে অনুমতি নিয়েই তারা এই পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন এবং দাম্ভিকতার স্বরে তারা উল্টো প্রতিবেদককেই ইউএনও ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় এবং বি আই ডাব্লিউটিএর অফিসে যোগাযোগ করার কথা বলেন। তবে অনেক স্থানীয় ও এক মাটি বিক্রেতা স্বীকার করে বলেন অবৈধ ভাবে পাড় কেটে এই মাটি কাটতে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী নিজেই বাধা দেওয়ার কারনে নিজে আর মাটি পাড় কাটা ও মাটি বিক্রি করা বন্ধ করেছেন।

IMG 20240111 143115

অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসে যোগাযোগ করলে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি মর্মে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরে তিনি অবৈধ ভাবে পাড় কেটে মাটি বিক্রির বিষয়টি জানতে পারলে তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানান। একদিন বন্ধ থাকার পর আবারো সেই পয়েন্ট গুলোতে একই কার্য্যক্রম চলমান লক্ষ্য করা যায়।

এবিষয়ে আবারো বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পাড় কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।