প্রিন্স এডওয়ার্ড মাংসাং, টাঙ্গাইলঃ
দেশে অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ক্ষেত মধুপুরের শাল গজারির বন এখন নিঃশেষ হতে চলেছে। যে গজারির বন লক্ষ কোটি প্রাণীর অক্সিজেন যোগান দিয়ে থাকে সেই অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি প্রাকৃতিক শাল গজারির বন প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই ! বন খেকো এবং ভূমি দস্যুরা একের পর এক উজাড় করে দিচ্ছে। এই সকল বন খেকোরা দলীয় পরিচয়ে এবং বন কর্মকর্তাদের সরাসরি সহযোগিতায় এভাবেই উজার করে দিচ্ছে প্রাকৃতিক শাল গজারির বন ! বন কর্মকর্তারা বিশেষ সুবিধা নিয়ে সবসময়ই না দেখার ভান করে আসছে। এলাকাবাসীরা জানায় বছরের পর বছর প্রাকৃতিক গজারির বনটা ধ্বংস করেই জয়নাল আবেদীন চাষাবাদ করছে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে শত একর বন উজাড় করলেও থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বলছিলাম মধুপুর উপজেলা বেরিবাইদ ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া পাকা রাস্তার পাশেই প্রাকৃতিক শাল-গজারির বনের কথা। এই বনটাকে জয়নাল আবেদীন নামের এক বন খেকো প্রতিনিয়তই ক্ষতবিক্ষত করে উজাড় করে দিচ্ছে,। এই বন খেকো বনের অন্যান্য দিকেও বন উজাড় করে চাষাবাদ করছে বলে এলাকাবাসীদের নানা অভিযোগ রয়েছে।
কে সেই জয়নাল আবেদীন – সে হচ্ছে জলছত্র অগ্নি সেনা নামক ক্লাবের সভাপতি। যে ক্লাব জনকল্যানমূলক কাজ না করে, দাঙ্গা হাঙ্গামা জবরদখল এবং নেশার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। যে ক্লাব আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো গ্রামের এলাকাবাসী। জয়নাল আবেদীন এবং এর ক্লাবের সদস্যরা যাতে দলের নাম ভাঙিয়ে আর অপকর্ম না করতে পারে সে বেপারে দলীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এলাকাবাসীরা বলেন, বন কি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে ? গজারির বন একের পর এক উজাড় করে চাষ করে চলেছে; যেন দেখার মত কেউ নেই। শাল গজারির বন উজার করা সেই মূল হোতা জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।