বাঘাইছড়ি উপজেলাঃ
আজ বৌদ্ধদের মহামানব বনভান্তের ১২তম পরিনির্বাণ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারী পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের চাকমা সমাজের জগত দুর্লভ পরিনির্বাণ প্রাপ্ত পরম পূজ্য শ্রদ্ধেয় সাধনানন্দ মহাস্থবির(বনভান্তে)-র ১২ তম পরি নির্বান উপক্ষে বাঘাইহাট বনানি বন বিহারে অনাড়ম্বর পরিবেশে ধর্মীয় গাম্ভীর্যে বিশাল পরিসরে পালন করা হয়েছে।
ভোর ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় পতাকা উত্তেলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্টান শুরু হয়। পরম পূজনীয় বনভন্তে’র পরিনির্বাণ দিবসের আনুষ্টানিকতা অনুষ্টান শুরুর পরপরই হাজার হাজার পুর্ণ্যার্থীরা বনভান্তের উদ্দশ্য করে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন অনুষ্টানে আশা পার্ণ্যার্থীরা।
এসময় সাবেক সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বনানি বন বিহারের ভিক্ষু সংঘ, বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিহারের উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ ও অনুষ্টানে শতশত পূর্ণ্যার্থীরা উপিস্থত ছিলেন।
বনভান্তের ১২তম পরিনির্বাণ উপলক্ষে বনানি বন বিহারে অনাড়ম্বর পরিবেশে ধর্মীয় অনুষ্টান আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় সকল পুর্ণ্যার্থীদের উপস্থিতিতে পঞ্চশীলের অধিষ্টিত হয়ে বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, হাজার বাতি দান, বিবিধ দানসহ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্টানে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন রুপায় চাকমা সহকারি শিক্ষক বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়। এতে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন শাক্যবোদি চাকমা প্রধান শিক্ষক বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়।
অনুষ্টানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্তিত থাকেন খাগড়াছড়ি ধর্মপুর বন বিহারের অধ্যক্ষ বদ্দশি মহাস্হবির ভান্তে ও বনানি বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ কৃপারত্ন ভান্তে ধর্দেমশনা প্রদান করেন।
অনুষ্টান শেষে ৮৪ হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।