বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাঙামাটি জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বাউন্ডারী ভিতরে থাকা আবারো ফিডার তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভেদভেদী পিডিবির ষ্টোর সংলগ্নে সাবষ্টেশন উপকেন্দ্রের ফিডার তার ৩.১৮৫ মি: রাতে চুরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঠিকাদার সুত্রে জানাগেছে, এসব তার বাজার মুল্য আনুমানিক মুল্য প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকা। অথচ এধরনের তার চুরির ঘটনা ঘটলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি।
এদিকে জাকির নামে এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, বিদ্যুৎ অফিসের পিছনে সাইটে বাউন্ডারী মধ্যে এসব ফিডারের তার চুরি হয়েছে বলে শুনেছি, তবে সিসি ক্যামেরা থাকার সত্বেও সংরক্ষিত এলাকায় চোরকে শনাক্ত করার সম্ভব হয়ে উঠেনি।
এই চুরির ঘটনার বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহেদ ইমতিয়াজ শীতল, ষ্টোর দায়িত্ব উপসহকারী প্রকৌশলী এসবিএ এরশাদ ও নিরাপত্তা প্রহরীরা কেউ জানে না বলে পিডিবি অফিস সুত্রে জানা যায়।
সাবষ্টেশনের অফিসের সামনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপকেন্দ্রের তার চুরি বিষয়ে আমরা শুনেছি, পিডিবির কর্মচারী জাকির জানায়, রাতে কে বা কারা তারগুলি চুরি করে নিয়ে যায় আমরা জানি না।
তার চুরির ঘটনা বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল, বিউবো, চট্টগ্রাম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি দেখবো। রাঙামাটি নিবার্হী প্রকৌশলী জালাল উদ্দীন বলেন, আনুমানিক ৩ মিটার ফিডার ক্যাবল চুরি হয়। কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তথ্য কমিশনের সভার সিদ্ধান্ত অবহিতকরণ প্রসঙ্গে। প্রতিবেদনের ১১-১০-২০২৩ তারিখে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রদান না করা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি তথ্য কমিশন সভায় আলোচনা হয়। দায়েরকৃত অভিযোগের সাথে কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) জবাব প্রদান করেছেন। কৌশলে জবাব দিয়ে যা সিডিউল ও বাস্তবতার সাথে কোন ধরনের মিল ছিল না। (আরটিআই) কর্তৃক প্রদত্ত জবাব গ্ৰহনযোগ্য বিধায় অভিযোগটি খারিজ করা হয়। সোহানা নাসরিন উপপরিচালক স্বাক্ষরিত ৩১.১.২৪ (গ.প্র.প্র.) তথ্য কমিশন বাংলাদেশ।স্বারক নং- ১৫.৫১.০০০০.৬০৩.০৪.০০১.১৮.৮৪৫ । এভাবে একাধিক তার চুরি বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। রাঙাপানি একবার চোর হাতেনাতে ধরলেও সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহেদ ইমতিয়াজ শীতল সাধারণ ডায়েরী করে দায়িত্ব শেষ।
তড়িৎবিদ গিয়াস উদ্দীনের বিরুদ্ধে হাজাছড়া তার চুরি বিষয়ে অভিযোগ করে স্থানীয় মেম্বার। এর আগেও প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার তার চুরি বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। বিগত বছরে কয়েকজন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা একাধিকবার তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে যাচিত তথ্য প্রদান করেন, যা অসম্পুর্ণ ও বাস্তবতার সাথে দৃশ্যমান নয়। তথ্য প্রদানে উল্লেখ করা হয়েছে সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন হয়। গত বছর জুন মাসে আবাসিক এলাকার গেইট পরিবর্তন ও বাউন্ডারী ওয়াল উচুকরণ করার জন্য মিরাজ এন্টারপ্রাইজ এর নামে দরপত্র দেখানো হয়। প্রায় ৮ লক্ষ টাকার কাজ না করে বিল উক্তোলন করা হয় । যার অডিট আপত্তি করা হয়। ঐ বিলে সাবেক ষ্টোর কিপার হুমায়ন কবির স্বাক্ষর করেনি বলে জানাগেছে। তথ্য প্রদানে বহিরাগত কেউ থাকে না বলে উল্লেখ করলেও বাস্তবে মো: সিরাজ পাম্প চালক ও অস্থায়ী গাড়ী চালক শামীম স্ব-পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে । আরো উল্লেখ থাকে যে, কালিন্দিপুর মুখে ৭ তলা বিল্ডিং এ দুই ব্যক্তির নামে আবেদন অনুমোদন ব্যাংক পেমেন্ট ব্যতীত ২০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করার অভিযোগটি দৃশ্যমান? এই ধরনের কোন অভিযোগ রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার চুরিসহ অনিয়ম দুর্নীতি বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে, ফিডার তার চুরি নতুন নয়, এর আগেও তার চুরি ঘটনা বিভিন্ন সময় একাধিক অভিযোগ করা হয়।