মহালছড়ি প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলাতে প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার পুষ্পাঞ্জলি ও প্রণাম মন্ত্রের মধ্যে দিয়ে শ্রীপঞ্চমীর দিনে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপিত হয়েছে।
ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরিবারে এই দিনে শিশু সন্তানদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণ ভোজন মহাপ্রসাদ আস্বাদন ও পিতৃতর্পণের প্রথাও প্রচলিত। পূজার দিন সন্ধ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপ গুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজার পরের দিনটি শীতল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে কোনও কোনও হিন্দু পরিবারে সরস্বতী পূজার পরদিন অরন্ধন পালনের প্রথা রয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় উপজেলার মহালছড়ি দক্ষিণা কালী মন্দিরে, মাষ্টারপাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে, মহালছড়ি সরকারি কলেজ, মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাইসছড়ি জগন্নাথ মন্দির, দিলীপ সেনের বাড়ি সহ গ্রাম পাড়া মহল্লাতে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামন্ডপে সনাতনী শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সের ভক্তবৃন্দ ও নানান ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠীর মানুষজনও পূজামন্ডপ দর্শন করছেন। সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিতে শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।
পুষ্পাঞ্জলির মধ্য দিয়ে শ্রীপঞ্চমীর দিনে প্রতিটি পূজামন্ডপে ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীনা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।। ওঁ সরস্বত্যৈ নমাে নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমাে নমঃ বেদবেদান্তবেদাঙ্গ বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ। এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্ৰাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ মন্ত্রে বিদ্যার ও সুরের দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতীর পূজা করা হয়।