উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলীঃ
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুচিংমং মারমা এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌয়াইতু মৌজার হেডম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য উথিনসিন মারমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাজস্থলী উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় রাজস্থলী উপজেলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল হক, আজগর আলী খান, ধনরাম কর্মকার, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, দীলিপ দাশ, শিমুল দাশ, নজরুল ইসলাম, নয়ন চৌধুরী, ডাঃ ইউসুফ আলী খান, দেবাশীষ দাস, সাজু বনিক, ডাঃ সুজন ঘোষ, নয়ন কান্তি দে, ধনপ্রতি দে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমাকে জড়িয়ে গত ১৫ মার্চ দৈনিক কালবেলা সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত উবাচ-পুচিমং বাহিনীর হাতে জিম্মি পাহাড়ি বাঙ্গালী শিরোনামে নিউজটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
বক্তরা আরো বলেন, রাজস্থলী উপজেলার যীশু সাহা, পিতাঃ সনাতন সাহা দীর্ঘ দিন ধরে একটি ড্র-সমিতিতে জমানো বাবদে সহ বেশ কয়েকটি একাউন্টের চেক দিয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যীশু সাহা। টাকা গুলো আদায়ের জন্য পাওনাদাররা উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে যেহেতু আবেদনকারী ও বিবাদী সনাতন ধর্ম্বাবলম্বী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক বসার উদ্যোগ নেয় উপজেলা চেয়ারম্যান। বৈঠকের জন্য একটি নোটিশ বিবাদী যীশু সাহার নিকট পাঠানো হয়েছিলো। যথা সময়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাদীরা উপস্থিত হলেও বিবাদী যীশু সাহা সময় মতো উপস্থিত না হওয়ায়, কয়েকজন ইউপি সদস্য ও সমাজের নেতৃবৃন্দকে যীশুর বাড়িতে পাঠালে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় ব্যবহার করেন যীশু সাহা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান অন্য আরেক জনকে ফোন করলে পরে বিবাদী যীশু সাহা কিছুক্ষণ পর বৈঠক স্থলে আসেন। বাদি ও বিবাদীদের কথা শুনার এক পর্যায়ে বিবাদী যীশু সাহা বৈঠকস্থল থেকে জোর পূর্বক চলে আসতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে বকা দেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকায সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌয়াইতু মৌজার হেডম্যান উথিনসিন মারমা সহ দুইজন বাদী সঞ্জয় বনিক ও সাজু বনিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং রাঙ্গামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বক্তরা উল্লেখ করেন।
এদিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও হেডম্যান উথিনসিন মারমা এবং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা অসাম্প্রদায়িক মনের মানুষ। তাদের মধ্যে কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক মন-মানসিকতা নেই বললেই চলে।
এদিকে যীশু সাহার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার কাছে অনেকে টাকা পাবে সেটি সত্যি। তবে এতো টাকা পাবে না। এবং পাওনাদাররা যদি প্রমান সাপেক্ষে আমার নিকট থেকে কোটি টাকা পায় আমি দিয়ে দিব, আমার সম্পদ আছে। কিন্তু বিচারে ডেকে কেন আমাকে অপমান করলো। উপজেলা চেয়ারম্যান যে বিচার নিয়ে আমাকে মারধর করবে সেটি আমি আগে থেকেই জানতাম। তাই আমি প্রথমে বিচারে হাজির না হয়ে পরে বিচারে গিয়েছিলাম। তাই আমি ভিডিও করে রেখেছি। বিচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু ভিডিও আমার কাছে আছে। আমার মা এবং বড় ভাই আমাকে একাধিক অনুরোধ করেছেন মামলাটি নামিয়ে ফেলার জন্য। আমি রাজি হয়েছিলাম। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে আমি আইনের প্রক্রিয়া চলবো বলে জানান তিনি।