Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরকলে দুর্গম গ্রামে ৫ জনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক রোগ বলছে চিকিৎসকরা

print news

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, রাঙামাটিঃ

 

রাঙ্গামাটি জেলা দুর্গম বরকল উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তীর কাছাকাছি এলাকায় ভুষনছড়া ইউনিয়নে চান্দবীঘাট এলাকায় ৫ জনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মংক্যছিং মার্মা (সাগর)।

 

গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: মক্যচিং এর নেতৃত্বে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টীম চান্দবীঘাট (গ্রামে) পৌঁছেন। এবং এলাকায় ঘুরে ঘুরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গত ২২ মার্চ ফিরে আসেন। এতে অন্যান্য রোগীর সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।

 

তিনি আরো জানান, যারা মারা গেছে তারা অজ্ঞাত রোগে নয়। যারা মারা গেছে তাদের আগে থেকে লিভার, কিডনি, প্যারালাইসিস রোগে আগে থেকে সমস্যা ছিলো। আর যারা মরেনি তাদের এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশি ছিলো। আমরা ঔষধ দিয়েছি এখন সুস্থ রয়েছেন। তারা পাহাড়ি করিরাজ (বৈদ্য) দ্বারা চিকিৎসা করেছে যা ভুল চিকিৎসার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

 

গত জানুয়ারি মাস হতে তিন মাসের ব্যবধানে ২য় শ্রেণি এক শিক্ষার্থী সহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হলে তাদের ধারণা গ্রামে পুরনো একটি বটগাছ কাটার ফলে রক্ত বমি ও সর্দি-কাশিতে মারা যাচ্ছে। সেই কেটে ফেলা গাছটি স্থানীয়দের মাঝে একটি আধ্যাত্বিক শক্তি সম্পন্ন গাছ বলে তাদের কাছে বিশ্বাস। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো নতুন করে অসুস্থের খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

বরকলে দুর্গম গ্রামে ৫ জনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক রোগ বলছে চিকিৎসকরা

প্রকাশিত: ০৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
print news

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, রাঙামাটিঃ

 

রাঙ্গামাটি জেলা দুর্গম বরকল উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তীর কাছাকাছি এলাকায় ভুষনছড়া ইউনিয়নে চান্দবীঘাট এলাকায় ৫ জনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মংক্যছিং মার্মা (সাগর)।

 

গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: মক্যচিং এর নেতৃত্বে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টীম চান্দবীঘাট (গ্রামে) পৌঁছেন। এবং এলাকায় ঘুরে ঘুরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গত ২২ মার্চ ফিরে আসেন। এতে অন্যান্য রোগীর সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।

 

তিনি আরো জানান, যারা মারা গেছে তারা অজ্ঞাত রোগে নয়। যারা মারা গেছে তাদের আগে থেকে লিভার, কিডনি, প্যারালাইসিস রোগে আগে থেকে সমস্যা ছিলো। আর যারা মরেনি তাদের এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশি ছিলো। আমরা ঔষধ দিয়েছি এখন সুস্থ রয়েছেন। তারা পাহাড়ি করিরাজ (বৈদ্য) দ্বারা চিকিৎসা করেছে যা ভুল চিকিৎসার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

 

গত জানুয়ারি মাস হতে তিন মাসের ব্যবধানে ২য় শ্রেণি এক শিক্ষার্থী সহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হলে তাদের ধারণা গ্রামে পুরনো একটি বটগাছ কাটার ফলে রক্ত বমি ও সর্দি-কাশিতে মারা যাচ্ছে। সেই কেটে ফেলা গাছটি স্থানীয়দের মাঝে একটি আধ্যাত্বিক শক্তি সম্পন্ন গাছ বলে তাদের কাছে বিশ্বাস। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো নতুন করে অসুস্থের খবর পাওয়া যায়নি।