Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়ারিশন সংক্রান্ত বিষয়ে রামগড় ইউএনও’র দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

print news

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড় প্রতিনিধিঃ

 

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার সৃজিত ওয়ারিশন সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা-নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিসেস মমতা আফরিন এর দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে ও মেয়েরা। সৃজিত উত্তরাধিকার সনদ সংক্রান্ত তদন্তে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে একতরফা – প্রতিবেদন দেওয়ায়, পিতার উত্তরাধিকার সনদপত্র থেকে বঞ্চিত ও আবেদনকৃত ২৮৫ নং ওয়ারিশন সনদ করতে নানা হয়রানি এবং ওয়ারিশন সনদ পাওয়ার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে মোঃ মোস্তফা নও মুসলিম (স্বাধীন ত্রিপুরা) (৫৫) কুমরিয়া ত্রিপুরা- ছেলে লক্ষী ত্রিপুরা ফেরম লক্ষী ত্রিপুরা।

Untitled 1 3

গত ৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার ) দুপুরে তারা হাইকোর্ট বারের সিনিয়র আইনজীবী মো. মঞ্জুরুল করিম এর মাধ্যমে এ রিট দাখিল করেন। IN THE SUPREME COURT OF Bangladesh – HIGH COURT Division (SPECIAL ORIGINAL JURISDICTION) WRITE PETITION- No 1426 OF 2024.. উক্ত রিট পিটিশন এর আবেদনের পর ১৩ই মার্চ ২০২৪. Justice নাইমা হায়দার ও কাজী জিনাত হক এর বেঞ্চে রামগড় ইউএনও’র দেওয়া প্রতিবেদনটির সকল কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খাগড়াছড়িকে বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করে ৪ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

উল্লেখ্য – যে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা পিতা মংক্রই ত্রিপুরার ওয়ারিশন সনদ জালিয়াতি প্রসঙ্গে দেখা গেছে বার মগ হচ্ছে মার্মা সম্প্রদায়ের ব‍্যাক্তি, আর মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা হচ্ছে সনাতন ধর্ম সম্প্রদায়ের ব‍্যাক্তি, বার মগের ছেলে দোঅংগ‍্য মগ জালিয়াতি করে ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার নাম ব‍্যবহার করে ওয়ারিশন সনদ করেছে মর্মে অভিযোগ এনে সৃজিত ওয়ারিশন সনদটি মামলা নং ৬১৫/রাম ২০০৬ গত ৪/৪/২০২৩ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা- মৃত শ্রীমতি ত্রিপুরানী’র ছেলে কুমরিয়া ত্রিপুরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১১মে ২০২৩ইং ১১০নং স্মারক মুলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক থেকে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১নং ইউপি চেয়ারম্যান ২২৯নং মৌজা প্রধানকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার এর তদন্ত প্রতিবেদনে কুমরিয়া ত্রিপুরা গংরা মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ বলে উল্লেখ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান তদন্ত শেষে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ইং ৮৩৫ নং স্মারক মুলে উভয়কে নোটিশ করে ৪ সেপ্টেম্বর তার কার্যালয়ে শুনানি করেন ও যাবতীয় কাগজপত্র দেখেন। শুনানি শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ডিসি অফিসে পাঠানো প্রতিবেদনে ইউএনও মমতা আফরিন কুমরিয়া ত্রিপুরা স্বাধীন ত্রিপুরা (মোস্তফা নও মুসলিম) গংরা মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ নয় বলে উল্লেখ করেন এবং পূর্বের সৃজিত ৬১৫/রাম ২০০৬ ইং উত্তরাধিকার সনদে থাকা দোঅংগ‍্য মগ গংরা ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ বলে উল্লেখ করেছেন। ইউএনওর প্রতিবেদন দাখিলের পর মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে কুমরিয়া ত্রিপুরার আবেদনটি নথিজাত করা হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে।

Untitled 2

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিসেস মমতা আফরিন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পিতার উত্তরাধিকার সনদপত্র থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং (রবিবার) মহামান্য হাইকোর্টে এ রিট করা হয়।

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

বিলাইছড়িতে দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে হিল ফ্লাওয়ার

ওয়ারিশন সংক্রান্ত বিষয়ে রামগড় ইউএনও’র দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত: ০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
print news

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড় প্রতিনিধিঃ

 

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার সৃজিত ওয়ারিশন সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা-নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিসেস মমতা আফরিন এর দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে ও মেয়েরা। সৃজিত উত্তরাধিকার সনদ সংক্রান্ত তদন্তে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে একতরফা – প্রতিবেদন দেওয়ায়, পিতার উত্তরাধিকার সনদপত্র থেকে বঞ্চিত ও আবেদনকৃত ২৮৫ নং ওয়ারিশন সনদ করতে নানা হয়রানি এবং ওয়ারিশন সনদ পাওয়ার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে মোঃ মোস্তফা নও মুসলিম (স্বাধীন ত্রিপুরা) (৫৫) কুমরিয়া ত্রিপুরা- ছেলে লক্ষী ত্রিপুরা ফেরম লক্ষী ত্রিপুরা।

Untitled 1 3

গত ৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার ) দুপুরে তারা হাইকোর্ট বারের সিনিয়র আইনজীবী মো. মঞ্জুরুল করিম এর মাধ্যমে এ রিট দাখিল করেন। IN THE SUPREME COURT OF Bangladesh – HIGH COURT Division (SPECIAL ORIGINAL JURISDICTION) WRITE PETITION- No 1426 OF 2024.. উক্ত রিট পিটিশন এর আবেদনের পর ১৩ই মার্চ ২০২৪. Justice নাইমা হায়দার ও কাজী জিনাত হক এর বেঞ্চে রামগড় ইউএনও’র দেওয়া প্রতিবেদনটির সকল কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খাগড়াছড়িকে বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করে ৪ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

উল্লেখ্য – যে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা পিতা মংক্রই ত্রিপুরার ওয়ারিশন সনদ জালিয়াতি প্রসঙ্গে দেখা গেছে বার মগ হচ্ছে মার্মা সম্প্রদায়ের ব‍্যাক্তি, আর মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা হচ্ছে সনাতন ধর্ম সম্প্রদায়ের ব‍্যাক্তি, বার মগের ছেলে দোঅংগ‍্য মগ জালিয়াতি করে ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার নাম ব‍্যবহার করে ওয়ারিশন সনদ করেছে মর্মে অভিযোগ এনে সৃজিত ওয়ারিশন সনদটি মামলা নং ৬১৫/রাম ২০০৬ গত ৪/৪/২০২৩ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা- মৃত শ্রীমতি ত্রিপুরানী’র ছেলে কুমরিয়া ত্রিপুরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১১মে ২০২৩ইং ১১০নং স্মারক মুলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক থেকে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১নং ইউপি চেয়ারম্যান ২২৯নং মৌজা প্রধানকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার এর তদন্ত প্রতিবেদনে কুমরিয়া ত্রিপুরা গংরা মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ বলে উল্লেখ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান তদন্ত শেষে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ইং ৮৩৫ নং স্মারক মুলে উভয়কে নোটিশ করে ৪ সেপ্টেম্বর তার কার্যালয়ে শুনানি করেন ও যাবতীয় কাগজপত্র দেখেন। শুনানি শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ডিসি অফিসে পাঠানো প্রতিবেদনে ইউএনও মমতা আফরিন কুমরিয়া ত্রিপুরা স্বাধীন ত্রিপুরা (মোস্তফা নও মুসলিম) গংরা মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ নয় বলে উল্লেখ করেন এবং পূর্বের সৃজিত ৬১৫/রাম ২০০৬ ইং উত্তরাধিকার সনদে থাকা দোঅংগ‍্য মগ গংরা ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ওয়ারিশ বলে উল্লেখ করেছেন। ইউএনওর প্রতিবেদন দাখিলের পর মৃত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে কুমরিয়া ত্রিপুরার আবেদনটি নথিজাত করা হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে।

Untitled 2

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিসেস মমতা আফরিন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পিতার উত্তরাধিকার সনদপত্র থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং (রবিবার) মহামান্য হাইকোর্টে এ রিট করা হয়।