মানিকড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা রামগড়ে উপজেলা মারমা জনগোষ্ঠী প্রধান উৎসব মাহা সাংগ্রাইং মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। সাংগ্রাই ঘিরে নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা ধরে রাখতে জেলা ও আটটি উপজেলা বসবাসকারী বয়স্ক ও মারমা তরুণ -তরুণীরা রং বেরংঙে নিজস্ব পোশাক পরিধান করে সাংগ্রাই র্যালীতে অংশগ্রহন করেন।
শনিবার বিকেলে ৪ টায় দিকে রামগড় বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গনে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মাহা সাংগ্রাই আনুষ্ঠানিকতা ও র্যালী শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এই অনুষ্ঠানে মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপত্বিতে সাংগ্রাই উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন গুইমারা সেনা রিজিয়নের কমান্ডার রাইসুল ইসলাম, ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃশহীদুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর অপু, জেলা পুলিশ সুপার মুক্তাধর,জেলা পরিষদ সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন,রামগড় পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল আলম কামাল প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাংগ্রাইং উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ম্রাগ্য মারমা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালায় করেন জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরী ও ডচেংনু চৌধুরী। পরে বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ হতে র্যালী বের হয়ে মাস্টারপাড়াস্থ মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জলকেলি, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও আলোচনা সভা, মাউসের প্রবীণ সংগঠকদের সংবর্ধনাসহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বক্তব্য প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মারমা জনগোষ্ঠী প্রতি বছর সাংগ্রাইতে উল্লাস ও আনন্দ করে থাকে। এই আনন্দ কে কিছু লোক নষ্ট করে দিতে চাই, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। মারমা জাতির দেশের জন্য গৌরব। মারমা জাতিরা নিজের সংস্কৃতির ধরে রেখেছে। পাহাড়ের মুসলিম, চাকমা, ত্রিপুরা, মারমাসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবার করছে। সেই হিসেবে ভিন্ন আঙ্গিকে বৈসাবি পালন করছেন।