মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা সদরে রাঙ্গাপানি এলাকায় শান্ত, ভদ্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন মংসানু মারমা। সেই পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে, বয়স্ক মাতা নিয়ে তার সংসার। মংশানু মারমা এলাকার মৃত রেদা মারমা ও ক্রইউসং মারমার পুত্র। এলাকাতে ছোট একটি মুদির দোকান ছিল তার।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯ঘটিকায় দোকানের বেচাকেনা ও লাইট বন্ধ হয়ে যায়। তখন মংশানু দোকান থেকে বের হয়ে দেখেন পার্শ্বে মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। তখনই সে লাইন চেক করে দেখেন তার দোকানে সংযোগ লাইনের তার ছিঁড়ে পড়ে আছে। এই সুযোগে মংশানু মারমা ছিঁড়ে পড়া তার সংযোগ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ শর্টে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পথের মধ্যে মংশানু মারমার (২৭) মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয় স্বজনের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
তবে পোস্ট মর্ডেমের (ময়নাতদন্ত) ভয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এলাকার ইউপি সদস্য ম্রাসাথোয়াই মারমা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর হয়। পরে প্রতিবেশী তার স্ত্রী থানা লিখিত আবেদন বিবেচনা করে ময়নাতদন্ত ছাড়া বিকেলে সামাজিক মহা-শ্মশানে দাহক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানান প্রতিবেশী উহ্লাপ্রু মারমা।
মৃত মংশানু মারমা মানিকছড়ি মারমা সম্প্রদায়ে বিশস্ত ও নির্ভরযোগ্য গণতান্ত্রিক সমবায়ী অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড একজন সদস্য। তার মৃত সৎকারের জন্য সদস্যদের কল্যাণ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সুইচিংপ্রু মারমা পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পরিবারের নিকট প্রদান করেন।