মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের বৃহত্তর কুড়াদিয়াছড়া এলাকার ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়ন এর বড় গ্রাম এলাকার কৃতী সন্তান পিএইচডি স্কলার প্রাপ্ত ডক্টর ইনা ত্রিপুরা ও ডক্টর হরিপূর্ণ ত্রিপুরাকে সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টার সময় বৃহত্তর কুড়াদিয়াছড়া এলাকাবাসীর আয়োজনে ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ভাইবোনছড়া উত্তর উপ- আঞ্চলিক শাখা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম লতিবান ইউনিয়ন শাখা, বলং হামারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিব মন্দির পাড়া ভাইবোনছড়া এর সার্বিক সহযোগিতায় পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়ন পরিষদে এই গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে ৪নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূমিধর রোয়াজার সভাপতিত্ব করেন।
বলং হামারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভি রঞ্জন ত্রিপুরার সঞ্চালনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুজেন্দ্র মল্লিকা মর্ডান কলেজ এর অধ্যক্ষ সাধন ত্রিপুরা। এতে বক্তব্য রাখেন দুই গুণী ও কৃতী সন্তান ডক্টর ইনা ত্রিপুরা ও ডক্টর হরিপূর্ণ ত্রিপুরা।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে অনলাইন কনফারেন্স এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন অভিলাষ কান্তি ত্রিপুরা। এতে অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা, ডক্টর ইনা ত্রিপুরার হাসব্যান্ড সুরলেশ্বর দেওয়ান হ্যাপী, নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিস দত্ত চাকমা, সহকারী শিক্ষক অরুণ বিকাশ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ ভাইবোনছড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সুবল ত্রিপুরা, ইউপি সদস্য নিরঞ্জন ত্রিপুরা।
জানা যায়, দুই কৃতি সন্তান জার্মানির রুহুর ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের বড় গ্রাম এলাকার কৃতি সন্তান ডক্টর হরিপূর্ণ ত্রিপুরা এবং অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিল্ডারস ইউনিভার্সিটি থেকে জেন্ডার ভায়োলেন্স এন্ড হিউমেনিটারিয়ান রেসপন্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন কুড়াদিয়াছড়া লম্বা পাড়া এলাকার সন্তান ডক্টর ইনা ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা এই ধরনের মহতী উদ্যোগের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই গুণী ব্যক্তির পদাঙ্ক অনুসরণ করে পানছড়ি উপজেলায় আরও অনেক কৃতী সন্তান উঠে আসবে এবং এগিয়ে নিয়ে যাবে সমাজকে ও রাস্ট্রকে এই আশা ব্যক্ত করেন।