মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে পাহাড়ের পানি সংকট জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ ও অনলাইন পোর্টাল সিএইচটি বার্তা সংবাদ প্রকাশিত হবার পর মানিকছড়ি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ত্বাহসিননুল ইসলাম উপজেলা সদরে ফকিরনালা গ্রামের মৃতপ্রায় কূয়াটি পরিদর্শন করলেন। তিনি ইউপি জনপ্রতিনিধি ক্রাখইঞো মারমা ও স্থানীয় বাসিন্দা কংচাইরী মারমা সাথে কথা বলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পানি কষ্ট বিষয়টি জানিয়েছেন।
উপজেলা সদরে ৫ কিলোমিটারে দূরে ফকিরনালা, ওয়াব্রাই, ডেপুয়া গ্রাম। এই গ্রামের দুইটিতে প্রায় দুইশতটি পাহাড়ি, বাঙালি পরিবারে মানুষের পানির জন্য হাহাকার বিষয়টি দেখেছেন তিনি। আগামী অর্থ বছরে বাজেটের গভীর নলকূপ স্থাপনে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ত্বাহসিননুল ইসলাম।
ফকিরনালা, ওয়াব্রাই, ডেপুয়া বাসিন্দাদের একমাত্র পানির উৎস হলো ফকিরনালা কূয়া। প্রাকৃতিক তীব্র গরমে কূয়াটি প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় এই এলাকার লোকজন পানি বড় সংকটে আছে।
প্রাকৃতিক বৈরিতার মানিকছড়ি ভূর্গস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলা অধিকাংশ পানি উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় কেবল খাবার পানি নয়, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের পানিও মিলছে না। এই পাহাড়ি এলাকায় পানির জন্য হাহাকার পড়েছে। এলাকাবাসীরা বহু বছর আগে পাহাড়ের নিচের জমি পাশ্বেই ইটের রিং দিয়ে গর্ত করে একটি কূয়া থেকে ভোরের কাক ডাকার সাথে শতশত নারী পানি সংগ্রহ করছেন। মৃতপ্রায় এই কূয়াটি পানিই এখন এলাকার মানুষজনের একমাত্র ভরসা।
উপজেলার বিভিন্ন জনপদে এখন তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। চলমান খরার কারণে উপজেলা মানিকছড়ি খালের পাহাড়ি ঝরনা শুকিয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন বলছেন, কেবল খরা নয়, নির্বিচারে বন-জঙ্গল উজাড় ও গাছপালা নিধনের কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক ঝরনাগুলো শুকিয়ে গেছে। গরমের কূয়া থেকে ঘোলা পানি পান করে নারী, বয়স্ক, শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।