বিলাইছড়ি ( রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ২য় পর্য়ায় নির্বাচন উপলক্ষে বিলাইছড়িতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ঐহিত্যবাহী নেতৃবৃন্দ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মতবিনিময় করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন খান। এই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জামশেদ আলম রানা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার), বিলাইছড়ি জোনের জোন কমান্ডার রিফায়েত করিম চৌধুরী পিএসসি, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম ও বিলাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কাশেম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ দিতে চাই এখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে আপনাদের সহযোগীতা ছিল এবং আন্তরিকতা ছিল। আমি বিশ্বাস করি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটি হবে সেটি আপনাদের সহযোগীতায় এবং আন্তরিকতায় সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। আর নির্বাচনটি যাতে সুষ্ঠু হয়, শান্তিপূর্ণ হয় নির্বাচন কমিশন থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা আপনাদেরকে দিয়েছে । যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনে কোনভাবে প্রভাবিত করার চেষ্ঠা করে বা নির্বাচনকে কুলুষিত করার চেষ্ঠা করে, ভোট কেন্দ্র দখল করার চেষ্ঠা করে, এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে সেই ভোট কেন্দ্রটি বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং কেউ যদি মনে করেন যে আমি ৫টি কেন্দ্র দখল করি, তাহলে আমি কিন্তু ভিলেন হতে পারবো। আপনার এই চিন্তার কোন লাভ হবেনা। আপনি যদি এই চিন্তা করেন তাহলে হয়তো আপনারই ক্ষতি হতে পারে। দেখা গেছে আপনি বিজয়ী হলেন, কিন্তু এই ধরনের কাজ করার ফলে যেটি হবে আপনাদের ভোট কেন্দ্রটি বাতিল হবে এবং কি আপনার প্রার্থীতাও বাতিল হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের কিন্তু সেই সক্ষমতা আছে। এই জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করবো যাতে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হয় সেই বিষয়ে সকলে লক্ষ্য রাখবেন। আর জাল ভোট, অনেকের জাল ভোট দেওয়ার প্রবনতা থাকে। একজনের ভোট আরেকজনে দিতে চায়। এই ধরনের একটা প্রবনতা দেখা যায়। এই বিষয়গুলো আপনারা যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তারা বলবেন, জাল ভোট যাতে কেউ না দেয় এবং জাল ভোট দিতে কেউ যেন উৎসাহিত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি জাল ভোট দিতে ধরা পরেন, তাহলে আপনিতো বেইজ্জতি হবেন। আপনার পরিবারসহ বেইজ্জতি হবেন। এই বিষয়ে আমি প্রার্থীদেরকে বলবো, আপনাদের যারা সংগঠক আছে তারা যাতে কোনভাবে জাল ভোট না দেয়। সেই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন। এবং প্রত্যকটা ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ করবেন। এজেন্ট যদি নিয়োগ হয় তাহলে কিন্তু জাল ভোটের প্রবণতা অনেক কমে যায়। কারণ এজেন্টরা এলাকার সবাইকে চিনবে। কারণ এজেন্টরা কিন্তু নিশ্চিত করে যে সে এই এলাকার ভোটার। এসময় উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দরাও উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা ও দিক তুলে ধরেন।