প্রিন্স এওয়ার্ড মাংসাং, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
পলিথিনের ছাউনী দিয়ে পাকা রাস্তার ধারে একটি বট বৃক্ষের নিচে সড়ক ও জনপদ (সওজ) জায়গায় কোনো রকম করে দোকান করছিল অসহায় একটি পরিবার, সেই ধনবাড়ীর উপজেলার নল্লা থেকে এসে এখানে কোনো রকম চা পান বিক্রি করে। এখানকার ক্রেতা সাধারণত পথচারীরা, চলতে পথে বা বনে ঘুরতে আসা লোকজনই এদের ক্রেতা, ঐসকল লোকজনের কাছে যা বিক্রি হয় তাতেই চলে তাদের ছোট্ট সংসার। প্রতিদিনই এভাবে এসে কয়েকদিন দোকান করছিল, আরেক দিন সকালে এসে দেখে তাদের পলিথিনের ছাউনী ঘরটি ভেঙ্গে দিয়েছে।
কমিউনিটি ফরেস্ট (ওয়ার্কার সিএফডব্লিউ) তারা হলেন, মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ হুমায়ূন গেন্দা, মোঃ মজিবর চোরা, মোঃ আইনবি। এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাড়ালজানী বিটের বড় বাইদ নামক স্থানে।
ঐসব সিএফডব্লিউরা হচ্ছে কুখ্যাত বন খেকো এবং ভূমি দস্যু তারাই আবার বন কর্মকর্তাদের দালাল। কিছুদিন আগেও বাচ্চু মিয়া এবং মজিবর চোরা তারা দুজনই জেল খেটে এসেছে বন মামলায়। এরই মধ্যে ঐসকল সিএফডব্লিউ নামক বন খেকোরা প্রায় ৫০/৬০ একর জায়গা বেড় করেছে প্রাকৃতিক শাল গজারির বন কেটে। ঐসব সিএফডব্লিউ দ্বারাই বিভিন্ন জায়গায় থেকে চাঁদা উঠায়, তেমনি কিছু দিন আগে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছিল কিন্তু তারা সেটা দিতে অপারগকতা প্রকাশ করে, কারণ তারা টাকা পাবে কোথায়? তাই তাদের এই পলি দিয়ে ছাওয়া ঘরটি ভেঙ্গে দেয়। অবশ্য ঐ জায়গায়টি বন বিভাগের না। জায়গাটি সড়ক ও জনপদ (স ও জ)। এরা সেখানে দোকান করছিল সেটি গত পরশুদিন ভেঙে দেয় অথচ এই বন বিভাগের জায়গায় চার-পাঁচতলা পর্যন্ত বাড়ি ঘর করা আছে, এখনো সামাজিক বনায়ন এবং বন বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা, সেইদিকে খেয়াল নেই। সেই সব জায়গায় কিছু বলে না। কারণ তারা সেইসব জায়গা থেকে মোটা দাগের সুবিধা নিয়ে থাকে। দেখেন অসহায় লোকেরা কোন টাকা পয়সা দিতে পারে না বিধায় রাস্তার ধারেও কোন রকম চা পানের দোকান পর্যন্ত করতে পারে না। যতো জুলুম অসহায়দের উপরে।
এই ব্যাপারে চাড়ালজানী রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে উনাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।