বান্দরবান প্রতিনিধি:
চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ শাসনবিধি বাতিল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল ও মং সার্কেলের প্রথাগত নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বান্দরবানের বিভিন্ন মৌজার জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে বান্দরবানের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা, চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন শাসনবিধি ১৯০০বাতিল করার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ যা হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল নামে ও পরিচিত, যেটি কিনা ১৯ জানুয়ারী ১৯০০ সালে কার্যকর হয়, তারপর থেকে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন সংক্রান্ত প্রধান আইনি দলিল হিসেবে কাজ করে চলেছে, পাশাপাশি এই প্রবিধানে বিভিন্ন বিধানসমূহ রয়েছে যা এই অঞ্চলের সুশাসন, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের জনগণের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুরক্ষা এবং আন্ত: প্রজন্মগত চর্চার জন্য অপরিহার্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি ১৯০০ বাতিল হলে পাহাড়ের পাহাড়ি সমাজ কাঠামো, সামাজিক প্রথা ভেঙে পড়বে এবংভূমি অধিকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
এসময় বক্তারা চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ শাসনবিধি বাতিল করার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত আইন সংরক্ষণে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
মানববন্ধনে বান্দরবান হেডম্যান এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লা মারমা, ৩১৬নং বেতছড়া মৌজার হেডম্যান হ্লা থোয়াই হ্রী মারমা, ৩২৪নং চেমী মৌজার হেডম্যান পুলু মার্মা, ৩০৯নং দক্ষিণ হাঙ্গর মৌজার হেডম্যান পারিং ম্রো, ৩০৭ নং চাম্বি মৌজার হেডম্যান টিমং প্রুসহ বান্দরবানের বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন নারী ও পুরুষেরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা হেডম্যান কারবারি এসোসিয়েশনের সভাপতি হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা, হেডম্যান উনিহ্লা মারমা, দুর্নিতী প্রতিরোধ কমিতির সভাপতি অংচমং প্রমুখ।
শেষে আয়োজনকারীরা বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন