Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চুক্তির সুবাদে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ​ঢাকামুখী

print news

পাহাড়ি ফল মেলা সমাপনী অনুষ্ঠান

 

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা অফিসঃ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুবাদে আজ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ঢাকায় এসে নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিজেদের উৎপাদিত ফলজদ্রব্যাদি প্রসারিত করতে সম্ভব হয়েছে। তবে মুল প্রতিদান হচ্ছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার রাষ্ট্রনায়ক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অশেষ আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছাই এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের ঢাকার আবাসস্থল শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রটির জন্য পাহাড়-সমতল সহবাস্থান বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

448914503 450386817766102 2139883579656131657 n

তিনি বলেন, পার্বত্য ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির প্রেক্ষিতে পাহাড়ে নানা ভাবে গড়ে উঠেছে পাহাড়িদের ফলজের বাগান। সরকারের আর্থিক সহায়তায় বর্তমানে সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও নানা প্রজাতির ফল উৎপাদিত করা হচ্ছে। আর এই ফলজদ্রব্যাদি অঞ্চল ভিত্তিক সীমাবদ্ধ না রেখে রাজধানী কেন্দ্রিক আনা হচ্ছে। আগামীতে আরো পার্বত্য অঞ্চলের সকল উৎপাদিত ফলজদ্রব্য প্রসারিত করতে এবং বাগান চাষীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

449645154 301019886426960 3854596826303595201 n

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের উৎপাদিত ফলজদ্রব্য দেশে বিদেশে প্রসারিত ও বাজারজাত করার লক্ষ্য রাজধানী ঢাকায় বেইলি রোড়ে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাহাড়ি ফল মেলা ২০২৪ সমাপনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

 

এছাড়াও আরো অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)-র অন্যতম প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মারমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনাবর্সন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

450104215 472615729049739 8118327650397896400 n    449725467 969706664846847 8703411510280301671 n

 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ৭টায় শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্টানে আলোচনা সভাশেষে মেলায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদকে প্রথম স্থান, খাগড়াছড়ি জেলা দ্বিতীয় ও বান্দরবান জেলাকে ৩য় স্থান পুরস্কৃত প্রদান করা হয়। বিশেষ পুরস্কৃত হিসেবে রাঙামাটির রোজেলা ফুডকে প্রদান করা হয়। আলোচনা সভাশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। মেলাটি আজ ১৩ জুলাই সমাপ্তি ঘটবে।

449693697 855076443174129 7653875700382295988 n

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

পার্বত্য চুক্তির সুবাদে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ​ঢাকামুখী

প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
print news

পাহাড়ি ফল মেলা সমাপনী অনুষ্ঠান

 

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা অফিসঃ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুবাদে আজ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ঢাকায় এসে নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিজেদের উৎপাদিত ফলজদ্রব্যাদি প্রসারিত করতে সম্ভব হয়েছে। তবে মুল প্রতিদান হচ্ছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার রাষ্ট্রনায়ক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অশেষ আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছাই এই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের ঢাকার আবাসস্থল শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রটির জন্য পাহাড়-সমতল সহবাস্থান বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

448914503 450386817766102 2139883579656131657 n

তিনি বলেন, পার্বত্য ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির প্রেক্ষিতে পাহাড়ে নানা ভাবে গড়ে উঠেছে পাহাড়িদের ফলজের বাগান। সরকারের আর্থিক সহায়তায় বর্তমানে সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও নানা প্রজাতির ফল উৎপাদিত করা হচ্ছে। আর এই ফলজদ্রব্যাদি অঞ্চল ভিত্তিক সীমাবদ্ধ না রেখে রাজধানী কেন্দ্রিক আনা হচ্ছে। আগামীতে আরো পার্বত্য অঞ্চলের সকল উৎপাদিত ফলজদ্রব্য প্রসারিত করতে এবং বাগান চাষীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

449645154 301019886426960 3854596826303595201 n

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের উৎপাদিত ফলজদ্রব্য দেশে বিদেশে প্রসারিত ও বাজারজাত করার লক্ষ্য রাজধানী ঢাকায় বেইলি রোড়ে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাহাড়ি ফল মেলা ২০২৪ সমাপনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

 

এছাড়াও আরো অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)-র অন্যতম প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মারমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনাবর্সন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

450104215 472615729049739 8118327650397896400 n    449725467 969706664846847 8703411510280301671 n

 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ৭টায় শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্টানে আলোচনা সভাশেষে মেলায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদকে প্রথম স্থান, খাগড়াছড়ি জেলা দ্বিতীয় ও বান্দরবান জেলাকে ৩য় স্থান পুরস্কৃত প্রদান করা হয়। বিশেষ পুরস্কৃত হিসেবে রাঙামাটির রোজেলা ফুডকে প্রদান করা হয়। আলোচনা সভাশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। মেলাটি আজ ১৩ জুলাই সমাপ্তি ঘটবে।

449693697 855076443174129 7653875700382295988 n