মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল ষ্টেশনের ক্ষয়ক্ষতির সরেজমিনে ঘুরে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা অফিসঃ
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা সংঘাতের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর ও মিরপুর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে মেট্রোরেল স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সরেজমিনে দেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা শহর যানজট শহর, আজ মেট্রোরেল স্থাপন করায় জনমনে অনেক স্বস্তি দিয়েছে মেট্রোরেল। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করা তা কোন অবস্থায় মানতে পারছি না।” প্রধানমন্ত্রী ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখে স্টেশন আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় তাকে চোখের পানি মুছতে লক্ষ্য করা গেছে।
১৮ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকা পুরো দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজে পুলিশ বক্সে ও মেট্রোরেলের ষ্টেশনে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে উৎসুক জনতা। সেই আগুনে পুরো ষ্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর ও কাজীপাড়া ষ্টেশন স্টেশন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ষ্টেশনে যে পরিমাণ ভাঙচুর হয়েছে সেসব যন্ত্রপাতি মেরামত যোগ্য নয়। এসব যন্ত্রপাতি আমদানী না করা পর্যন্ত সচল করা সম্ভব না বলে জানালেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। এতে প্রায় বছর খানিক সময় লাগবে।
মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জাকারিয়াকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সোমবার। এ কমিটি ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন জমা দিলে পুনরায় মেট্রোরেল চালুর সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল এর কর্মকর্তা।