Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলাইছড়ির অতি দূর্গম বড়থলিতে স্থাপিত হচ্ছে নতুন উচ্চ বিদ্যালয়

print news

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি|

 

বাংলাদেশের সবচেয়ে অতি দূর্গম ইউনিয়ন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ৪ নং বড়থলি ইউনিয়ন। জেলা সদর হতে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বড়থলি ইউনিয়ন। বিলাইছড়ি উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে বড়থলি ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের উত্তরে ফারুয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন, রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন, রুমা সদর ইউনিয়ন, রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়ন, থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়ন ও থানচি সদর ইউনিয়ন এবং পূর্বে মিয়ানমারের চিন রাজ্য ও ভারতের মিজোরাম প্রদেশ অবস্থিত।

 

এছাড়া বড়থলি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে রাইংখ্যং নদী। বিলাইছড়ি উপজেলা হতে বান্দরবান জেলার রুমা হয়ে পায়ে হেঁটে এই ইউনিয়নে যেতে লাগে ৩ দিন। বলতে গেলে সুযোগ সুবিধায় পিছিয়ে এই ইউনিয়নে নাই কোন যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা, নাই বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সুবিধা। এছাড়া শিক্ষা বিস্তারের জন্য শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা কেন্দ্রের অধীনে পরিচালিত কিছু পাড়া কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান বিলাইছড়িতে প্রথম সফর করেন। এতে বিলাই ছড়ি বাসীর প্রাণের দাবি ছিলো ১ টি কলেজ এবং বড়থলি ইউনিয়নে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা। দাবি পূরণে কলেজটি বর্তমান চলমান। এবার বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দূর্গম এই ইউনিয়নে স্থাপন করা হচ্ছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়।

 

 

এই ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডের বড়থলি পাড়ায় এই উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ইতিমধ্যে ১৮ শত বর্গফুট আয়তনের ৫ টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছে বড়থলি উচ্চ বিদ্যালয়। যেখানে ৬ষ্ট হতে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

 

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা গণমাধ্যমকে বলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গত বছর বিলাইছড়ি উপজেলায় এসে বিলাইছড়ি উপজেলায় একটি স্কুল ও অতি দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। তারই আলোকে জেলা প্রশাসক রাঙামাটি ও বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম এর আর্থিক সহযোগিতায় বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বড়থলি উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১৮ শত বর্গফুট আয়তনের ৫ টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি আগামী ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান। বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

 

ইউএনও জামশেদ আলম রানা আরোও বলেন, অচীরেই এই ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হবে। যোগাযোগ করা হলে ৪নং বড়থলি ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান জামাইয়া তঞ্চঙ্গ্যা এই প্রতিবেদককে বলেন, বড়থলি ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘ দিনের একটি দাবি ছিল পিছিয়ে পড়া দূর্গম এই ইউনিয়নে সরকারি উদ্যোগে একটি প্রাইমারি এবং একটি হাই স্কুল স্থাপন করা। অবশেষে আমরা হাই স্কুল পেয়েছি। আমি বড়থলি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ হতে উপজেলা প্রশাসনের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করছি অচীরেই এই ইউনিয়নে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

বিলাইছড়ির অতি দূর্গম বড়থলিতে স্থাপিত হচ্ছে নতুন উচ্চ বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
print news

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি|

 

বাংলাদেশের সবচেয়ে অতি দূর্গম ইউনিয়ন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ৪ নং বড়থলি ইউনিয়ন। জেলা সদর হতে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বড়থলি ইউনিয়ন। বিলাইছড়ি উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে বড়থলি ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের উত্তরে ফারুয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন, রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন, রুমা সদর ইউনিয়ন, রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়ন, থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়ন ও থানচি সদর ইউনিয়ন এবং পূর্বে মিয়ানমারের চিন রাজ্য ও ভারতের মিজোরাম প্রদেশ অবস্থিত।

 

এছাড়া বড়থলি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে রাইংখ্যং নদী। বিলাইছড়ি উপজেলা হতে বান্দরবান জেলার রুমা হয়ে পায়ে হেঁটে এই ইউনিয়নে যেতে লাগে ৩ দিন। বলতে গেলে সুযোগ সুবিধায় পিছিয়ে এই ইউনিয়নে নাই কোন যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা, নাই বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সুবিধা। এছাড়া শিক্ষা বিস্তারের জন্য শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা কেন্দ্রের অধীনে পরিচালিত কিছু পাড়া কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান বিলাইছড়িতে প্রথম সফর করেন। এতে বিলাই ছড়ি বাসীর প্রাণের দাবি ছিলো ১ টি কলেজ এবং বড়থলি ইউনিয়নে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা। দাবি পূরণে কলেজটি বর্তমান চলমান। এবার বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দূর্গম এই ইউনিয়নে স্থাপন করা হচ্ছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়।

 

 

এই ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডের বড়থলি পাড়ায় এই উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ইতিমধ্যে ১৮ শত বর্গফুট আয়তনের ৫ টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছে বড়থলি উচ্চ বিদ্যালয়। যেখানে ৬ষ্ট হতে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

 

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা গণমাধ্যমকে বলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গত বছর বিলাইছড়ি উপজেলায় এসে বিলাইছড়ি উপজেলায় একটি স্কুল ও অতি দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। তারই আলোকে জেলা প্রশাসক রাঙামাটি ও বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম এর আর্থিক সহযোগিতায় বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বড়থলি উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১৮ শত বর্গফুট আয়তনের ৫ টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি আগামী ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান। বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

 

ইউএনও জামশেদ আলম রানা আরোও বলেন, অচীরেই এই ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হবে। যোগাযোগ করা হলে ৪নং বড়থলি ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান জামাইয়া তঞ্চঙ্গ্যা এই প্রতিবেদককে বলেন, বড়থলি ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘ দিনের একটি দাবি ছিল পিছিয়ে পড়া দূর্গম এই ইউনিয়নে সরকারি উদ্যোগে একটি প্রাইমারি এবং একটি হাই স্কুল স্থাপন করা। অবশেষে আমরা হাই স্কুল পেয়েছি। আমি বড়থলি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ হতে উপজেলা প্রশাসনের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করছি অচীরেই এই ইউনিয়নে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।