সিনিয়র প্রতিনিধি, রাঙামাটিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামকেও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, এর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে দল-নিরপেক্ষ ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত এমন সক্ষম ব্যক্তিদের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শনিবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে সভাকক্ষে সকাল ১০ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও ছাত্র-জনতার সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে যা ঘটেছে তা পরিহার করে মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতা পরিহার করে সবার মতামতের ভিত্তিতে পার্বত্যাঞ্চলকে গড়ে তোলা হবে। আমরা গুড গভর্ন্যান্স গড়ে তুলতে চাই। পার্বত্য তিন জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল কাজ আমরা মিলেমিশে করবো।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা সবাই একসাথে আছি, একসাথে থাকবো। আমরা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে চাই। সকল ধর্মের মানুষের সাথে মিলেমিশে ভাই ভাই হয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করবো। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ২ জন ছাত্র প্রতিনিধিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক জেলা পরিষদে নিযুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দলমত নির্বিশেষে সকলের অবস্থান নেয়ার এ মহতী উদ্যোগকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুজ্জমান মহসীন রানা,সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক রাঙামাটি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাঙ্গামাটি প্রবীন সাংবাদিক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, বাঞ্চিতা চাকমা।