মানিক সাহা, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পরে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশামনি (১২) নামের ওই কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এলাকার লোকজন ও গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পলাতক যুবক প্রতিবেশী মাসুদের বাবা রাজা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত আটটার দিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের কিশোরী মেয়ে আশামনি অন্যদের সাথে বাড়ির বাইরে বের হয়। কিছু সময় পরে তাকে দেখতে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ অবস্থায় শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশ ঝাড়ে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
গোবিন্দগঞ্জ থানায় সংবাদ পাঠালে পুলিশ সেখান থেকে বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর কিশোরীটিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে জনিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.ফ.ম. আসাদুজ্জামান।
এ সময় দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী আশামনিকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী রাজা মিয়ার পুত্র মাসুদ (১৯) কে হত্যাকারী হিসেবে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করায় পুলিশ রাজা মিয়াকে আটক করে।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা অভিযুক্তের পিতাকে আটক ও মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।