Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমিত আকারে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে: উৎসব

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে
print news

 

 

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

 

রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব) এ বছর সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।

 

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই উৎসব পালন করা হলেও, খাগড়াছড়ির ও রাঙ্গামাটি সাম্প্রতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে এ বছর এটি দু’দিন ব্যাপী সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। এবারের উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা থেকে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস উড়ানো এবং হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে সীমিত আকারে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে আকাশে ফানুস উড়ানো হয়।

 

ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা উৎসব) পাহাড়ের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর আসে প্রবারণা পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার অনুষ্ঠান। মারমা ভাষায় যার নাম মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।

462534237 456966537499018 3609925511586653558 n

আজ প্রবারণার প্রথম দিনে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহামঙ্গলময় রং-বেরং এর ফানুস উত্তোলন। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় রথে গৌতম বুদ্ধকে বসিয়ে, রাইখালী নারানগিরি থেকে জগনাছড়ি ছড়ি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে রাইখালী মাঁঝি পাড়া পর্যন্ত ঘুরবেন। পরে কর্ণফুলী নদীতে উৎসর্গ করে শেষ হবে প্রবারণা উৎসব।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্বক প্রস্তুত রয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

সীমিত আকারে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে: উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
print news

 

 

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

 

রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে ঐতিহ্যবাহী চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব) এ বছর সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।

 

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই উৎসব পালন করা হলেও, খাগড়াছড়ির ও রাঙ্গামাটি সাম্প্রতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে এ বছর এটি দু’দিন ব্যাপী সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। এবারের উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা থেকে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস উড়ানো এবং হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে সীমিত আকারে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করে আকাশে ফানুস উড়ানো হয়।

 

ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা উৎসব) পাহাড়ের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর আসে প্রবারণা পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার অনুষ্ঠান। মারমা ভাষায় যার নাম মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।

462534237 456966537499018 3609925511586653558 n

আজ প্রবারণার প্রথম দিনে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহামঙ্গলময় রং-বেরং এর ফানুস উত্তোলন। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় রথে গৌতম বুদ্ধকে বসিয়ে, রাইখালী নারানগিরি থেকে জগনাছড়ি ছড়ি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে রাইখালী মাঁঝি পাড়া পর্যন্ত ঘুরবেন। পরে কর্ণফুলী নদীতে উৎসর্গ করে শেষ হবে প্রবারণা উৎসব।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্বক প্রস্তুত রয়েছে।