প্রকাশের সময়: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ । ২:৫৯ পিএম প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

বনবিভাগের ভূলতথ্য লেখার সংশোধন করতে বললেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা – সুপ্রদীপ চাকমা

অনলাইন ডেস্ক

 

মিকেল চাকমা, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বেশ কিছু উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন বন্যপ্রাণী শিকারকে একটি পেশা ও নেশা হিসেবে মনে করেন এটা কি ঠিক হলো? এটা পড়তে পড়তে দেখেছিলাম। বন্য প্রাণী শিকারটা কারো পেশাও না নেশাও না। এটা এখনি সংশোধন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

শনিবার (২রা আগষ্ট) রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের আয়োজনে জিমনেসিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এতে এই এলাকার লোকজন অপমানিত বোধ করবে। যেভাবে আমরা অপমানিত বোধ করি যখন যদি কাউকে বলা হয় যে মন্ত্রণালয় থেকে যে অমুককে বান্দরবানে পোস্টিং দেয়া হবে তার শাস্তিমূলক পোস্টিং হিসেবে। এগুলো যেমন আমাদের অপমানিত করে তেমনি এই বাক্যটা কেন জানি আমার মনে হয়েছে এখানকার লোকজন অপমানিত হবে। এগুলো লেখার আগে ভালো করে দেখে নিবেন। সাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে নয় এটা ভুলক্রমে লেখা হয়েছে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাটাই আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের এই সরকার আমরা খুব বেশি নেই হয়তোবা কিন্তু একটা জিনিস দিয়ে যেতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে এই দেশ ভালো থাকুক।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, আমাদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছেলে-মেয়েরা যে কারণে বিবেচনা করেছে সেই বিবেচনাটা যেন সমুন্নত রাখতে পারি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমরা প্রত্যেকের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।প্রত্যেকের মানুষের মাঝে যেন সাম্য, মৈত্রী, নিরাপত্তা দিতে পারি এটা এই সরকার মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। আমরা একটা ভালো কিছু দিয়ে যেতে চাই এই দেশটাকে। যদি সময়ও না পাই শুধু এই জিনিসটা আমরা মনে করিয়ে দিয়ে যেতে চাচ্ছি যে, দেশটাকে ভালো করতে হবে আমাদের সবাইকে মিলে সেটা পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক এই অঞ্চলকে যদি বলি পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক। অথবা সমতল ভূমিতে বলি বাঙালি ছাড়া ও এই এলাকায় এই ভূখন্ডে আরও ৫৪ টা জাতি প্রজাতি আছে। তারা যেন একসাথে ভালোভাবে চলতে পারি, ভালোভাবে থাকতে পারি এই চিন্তা আমাদের করতে হবে। এটা করতে গিয়ে বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠীকে সবসময় একটা দায়িত্ব নিতে হবে যে, তারা সবাইকে নিশ্চয়তা দিচ্ছে, আরাম দিচ্ছে এবং কনফিডেন্স দিচ্ছে যে আমরা সবাই ভাই ভাই। এটা আপনাদেরই দিতে হবে যেন আমরা আপনাদের সাথে আপনাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এই দেশের উন্নয়ন অংশগ্রহণ করবে পারি প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। এছাড়াও রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সরকার, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ নুয়েন খীসা, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিউটন চাকমা, বার্তা প্রধানঃ উথোয়াই চিং মারমা কপিরাইট © সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন