প্রকাশের সময়: বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৩:১৭ পিএম প্রিন্ট এর তারিখঃ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে চুক্তি বাস্তবায়নই একমাত্র সমস্যা সমাধান ——- রুপম চাকমা

অনলাইন ডেস্ক

 

সিএইচটি বার্তা ডেস্ক রিপোর্টঃ

পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর হলেও মৌলিক ধারা গুলোর বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারনে পাহাড় আজও অশান্ত। আদিবাসী জনগনের ভুমি, সংস্কৃতি ও অস্তিত্ব রক্ষা এবং শান্তি ফেরাতে চুক্তি বাস্তবায়নই একমাত্র পথ।

সাবেক ইউপিডিএফ নেতা রুপম চাকমার সাথ কথা হলে তিনি বলেন, পাহাড়ে চুক্তি বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির বৈষম্য দুর হবে !

পার্বত্য চট্রগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি বাঙ্গালিদের মধ্যে বৈষম্য একটাই কারন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন।

চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে শান্তি নিশ্চিত অপরিহার্য। ১৯৯৭ সালের এই চুক্তিটি বাস্তবায়নে এখনও অনেক ঘাটতি রয়েছে, যা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং সংঘাতের কারণ হয়েছে।

তিনি মনে করেন, চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ি বাঙ্গালিদের স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব।

পার্বত্য চুক্তির পুর্ণ বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে না! বর্তমান অন্তর্বতী সরকারকে তাদের কাজের অগ্রাধিকারের মধ্যে পার্বত্য চুক্তির বিষয়টাও রেখে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। পার্বত্য চট্রগ্রামসহ দেশের জনগণের একাংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে গণঅভ্যুখানের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন রুপম চাকমা। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙ্গালি উভয়েই ভেদাভেদ ভুল গিয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে পাহাড়ে শান্তি পুর্নভাবে বসবাসের উদ্যোগি হয়ে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ভুমিকা রাখলে আশা করা যায় পাহাড়ে পাহাড়ি বাঙ্গালি বৈষম্য সমস্যা ও সস্কট উভয়ের মধ্যে উত্তরণ সম্ভব হবে।

সাম্প্রতিক, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের লিখিত পরিক্ষায় ৪ বারের মত স্থগিত হওয়ায় পাহাড়ে শিক্ষাকেন্দ্র গুলোতে প্রভাব পরবে বলে মনে করেন ইউপিডিএফ সাবেক নেতা রূপম চাকমা।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিউটন চাকমা, বার্তা প্রধানঃ উথোয়াই চিং মারমা কপিরাইট © সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন