সাইফুল ইসলাম, রামগড়ঃ
খাগড়াছড়ির রামগড়ে প্রশাসনিক কোন অনুমোদন ছাড়াই চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল এ-র ব্যানারে ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কালাডেবা নামক স্থানে চক্ষু চিকিৎসা দিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র, তাদের গতিমতির উপর স্থানীয়দের সন্দেহ হলে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে পরে প্রশাসনের একটি দল তদন্তে করে ক্যাম্পিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। চক্ষু চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা ২ জনই হচ্ছে ডিএমএফ চিকিৎসক।
চিকিৎসা নিতে আসা কয়কজন রোগী জানান, তাদের চোখের বড় ধরনের রোগ হয়েছে। চট্টগ্রাম যেতে হবে অপারেশন করতে হবে ১৫, ২০ হাজার টাকা লাগবে বলে এসব চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের কথাবার্তার সন্দেহ হলে প্রশাসনকে জানানো হয়ে। প্রশাসন এসে দেখলো তারা কেউ চক্ষু ডাক্তার না, আসলে এরা প্রতারক।
প্রতারক চক্রটির ৪ ব্যাক্তি হলেন ডাঃ মেহেদী হাসান, ২৮, (ডিএমএফ) পিতা কামরুজ্জামান, বাউফল পটুয়াখালী।
অনুপ কুমার জয়, (৩৫,) পিতা মৃত অনিল বিশ্বাস বাবু বাজার, কোতোয়ালি ঢাকা, (অর্গানাইজার ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাল চট্টগ্রাম) ডাঃ রবিউল আউয়াল, ৩২, ডিএমএফ পিতা- মৃত এসএম, শাহাজান।আলী,ধানাকান্দিই সিরাজগঞ্জ। ফয়সাল খান, ৩০, পিতা মৃত আউয়াল খান, বাউফল পটুয়াখালী। (অর্গানাইজার ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল)। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ মেহেদী হাসান ও রবিউল আউয়াল তারা চক্ষু ডাক্তার না বলে স্বীকার করেন।
রামগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ ও এএসআই সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা ইউএনও স্যার কে বিষয়টি জানালে ইউএনও ওসিকে বলার পরে ওসির নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং তাৎক্ষণিক ক্যাম্পিং কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। তদন্তে তাদের কার্যক্রম অবৈধ ও অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় ২ চিকিৎসক ও ক্যাম্পিং পরিচালক ২ জন থেকে মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। এবং তারা এমন কাজ আর করবে না বলে এ মুসলেকা দিয়েছেন।
এবিষয়ে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডাঃ এবিএম মোজাম্মেল হক জানান, উপজেলা পর্যায়ে যে কোন মেডিকেল ক্যাম্পিং পরিচালনা করতে হলে অফিসিয়াল ভাবে লিখিত অনুমতির জন্যে আবেদন করতে হবে। তারপর আমরা যাচাই-বাছাই করে যদি অনুমোদন দেওয়া যায় তারপর অনুমতি দিয়ে থাকি। ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল ক্যাম্পিং করবে কিন্তু কোন প্রশাসনিক অনুমোদন নেই, তারা আরেকটি ভুল করছে সেটা হলো যে ২ জন ব্যাক্তিদের দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে তারা
এমবিবিএস চিকিৎসক না ডাঃ মোজাম্মেল হক আরো জানান, যে কোন চিকিৎসা সেবা দিতে হলে অবশ্যই সে চিকিৎসক এমবিবিএস চিকিৎসক হতে হবে। ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল কর্তৃক যে ক্যাম্পিং সেখানে ২ জন ব্যাক্তিই ডিএমএফ চিকিৎসক বলে তারা দাবী করছেন এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেও ডিএমএফ এ-র তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তারা চক্ষু চিকিৎসা করতে পারবে না এবং এ ২ ব্যাক্তি তাদের নামের আগে ডাঃ লিখে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছে। এসকল ব্যাক্তিদের শাস্তি হওয়ার দরকার।
মন্তব্য করুন