হ্লাসিং থোয়াই মারমা; বান্দরবান প্রতিনিধি:
মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব মাহা সাংগ্রাই পোয়েঃ । বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মারমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ। সাংগ্রাই গানের সুরের মাতোয়ারা বান্দরবান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে (কেএসআই)।
মূলত: এটি মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হলেও, পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ই উৎসবটিকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে। সপ্তাহব্যাপী চলবে এই উৎসব। আজকের শোভাযাত্রার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হলেও সপ্তাহব্যাপী রয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, আলোচনা সভা, লোকজ মেলা ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী তরুণী হ্লা এ সাইন বলেন, নতুন বছরে যেন সুখ শান্তি বিরাজ করুক আমাদের দেশে। সবাইকে একসাথে দেখে খুব ভালো লাগছে।
বান্দরবান সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদ সভাপতি চনুমং মারমা জানান, আজ রবিবার সকাল ৭টায় ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ থেকে সাংগ্রাই বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাইয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৭ দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবে রয়েছে, সমবেত প্রার্থনা, বৌদ্ধ মন্দিরে মন্দিরে ভান্তে (ধর্মীয় গুরুদের খাবার দান) ছোয়াইং দান, ৩ দিনব্যাপী জলকেলি উৎসব, পিঠা তৈরি, বৌদ্ধমূর্তি স্নান, হাজারো প্রদীপ প্রজ্বালন, বয়স্ক পূজা এবং সম্প্রদায়গুলোর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নানা আয়োজন।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় একযোগে কাজ করছি। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের জন্য একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন