সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
শিরোনাম:

বরকল উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:০৯ পিএম
3 বার পড়া হয়েছে
বরকল উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ

বরকল উপজেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এর আয়োজনে মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন বরকল উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ এহছান। এ প্রশিক্ষণে ৪৪ জন গ্রামভিত্তিক মহিলা ভিডিপি সদস্যা অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ নারীদের দক্ষ করে তোলা, তাদের আত্মনির্ভরশীল ও সচেতন করে সমাজে নেতৃত্ব গড়ে তোলা, নারীশক্তিকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করা।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ নারীদের শুধু সংগঠিত করে না, বরং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। এটি নিঃসন্দেহে বরকল উপজেলায় নারী জাগরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির এক নতুন পদক্ষেপ।

তৃতীয় বারের মতো ৬ ইঞ্চি খোলা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম
বরকল উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

  

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

তৃতীয় বারের মতো ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কপাবিকে এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৩টায় এই প্রতিবেদককে জানান, হঠাৎ করে লেক তীরবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের পর ১০৮.৬৫ ফুট মীনস সি লেভেল অতিক্রম করায় অথাৎ বিপদসীমা অতিক্রম করায় এদিন সোমবার দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত জুলাই মাসের শেষে এবং আগস্ট মাসের শুরুতে কাপ্তাই লেক তীরবর্তী অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বিপদসীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে প্রথমবারের মতো কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে পানি ছাড়ার ৭ দিন পর লেকে পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯ টায়  বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। হঠাৎ করে আবারও কাপ্তাই লেকের তীরবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মুহূর্তে মুহূর্তে লেকের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় অথাৎ বিপদসীমার উপর অতিক্রম করায় ফের দ্বিতীয় বারের মতো গত ২০ আগস্ট বুধবার রাত ৮ টায় কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে করে কাপ্তাই লেক হতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হয়েছিল।

ছবির ক্যাপশন: তৃতীয় বারের মতো ছাড়া হলো কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট।। আজ দুপুর ২.৫০ মিনিট এ তোলা।

বিলাইছড়িতে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হাজারো মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৪২ পিএম
বরকল উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাজারো মানুষের ঢল। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পল্টুন ঘাট থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে বাজার হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) উপজেলা শাখার সভাপতি এম এ সালাম ফকির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন।

সঞ্চলনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আহাম্মদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোরশেদ আলম, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নুরুন্নবী, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাহির উদ্দীন অর্ণব।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি চাথোয়াই রোয়াজা, সহ সভাপতি বারেক খাঁ। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জয়সিন্ধু চাকমা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম সর্দার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম রনি, জাসাসের সভাপতি জাকির হোসনে, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা বেগম, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আল মামুন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ শাহীদুল ইসলাম।

 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মো: নাসির আলী হায়দার, সুব্রত তঞ্চঙ্গ্যা (খুশি বাবু), যতীন তঞ্চঙ্গ্যা, মোঃ জাকির হোসেন, শামশু তঞ্চঙ্গ্যা, পালম বম, ত্রিপেল ত্রিপুরা, ভিএল পাংখোয়া, শান্তি রায় চাকমা, মিজানুর রহমান সিকদার, মোঃ অলি আহমেদ, মিলন চাকমা, প্রিয় জ্যোতি চাকমা, মনির হোসেন, মিলন চাকমা এবং কাপ্তাই উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, ৯০ শতাংশ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৭ বছরে অন্যায় অত্যাচার যা  করেছে সব বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে। আমরা দেশে অনেক সম্প্রদায় রয়েছি কিন্তু সবাই বাংলাদেশি। শেখ মজিবুর  রহমান সবাইকে বাঙালি বানিয়ে ফেলেছে। এখানে পোশাকে বুঝা যায় বমদের  তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, রয়েছে ধর্মও। এছাড়াও রয়েছে চাকমা, মার্মা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা সহ ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। অন্যায় করছে বলে তাদের গণ-অভ্যুত্থানে বিগত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দিবসটি  বাংলাদেশী মানুষদের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি বাংলাদেশী ভূখন্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার অব্যহতি পরেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী দুঃশাসনে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সাধারণ বিষয় হয়ে উঠে। যার অনিবার্য পরিণতি হয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। আর এই দুর্ভিক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। তৎকালীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বাকশাল কায়েম করে স্বৈরশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে। শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। শহীদ জিয়ার সৃষ্টি বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে কয়েকবার সুষ্ঠুু নির্বাচনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে।

নেতারা আরো বলেন, নানামুখী সুদুরপ্রসারী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় চির উন্নতশির বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্দ্বিধায় জীবন উৎসর্গ করেছে অসংখ্য নেতাকর্মী।  ৮০’র দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজপথে আপোষহীন ভূমিকা ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁর সেই অগ্রণী ভূমিকার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগ পর অনুকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বিএনপি। গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রাণ ফিরে পায় দলটি।

তারা আরও বলেন, ইনটেরিম গভর্মেন্ট ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচন যাতে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এদিনে আমাদের শপথ নিতে হবে। দেশে আর কোনো অবস্থাতেই স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। আরও বলেন, বিএনপি জয়ী হলে দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সবাইক কাজ করতে হবে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
বরকল উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ক্রয়কৃত কৃষি যন্ত্রপাতি ও ঢেউটিন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ ( ৮ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদ  মিলনায়তনে উপকারভোগীদের মাঝে এই কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে এই কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব, মো: আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব, মো: মনিরুল ইসলাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ, বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক এম, এম, শাহ্ নেয়াজ, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, জেলার বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা সহ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন,পাহাড়ের আদি চাষী পাহাড়ের নারীরাই। পাহাড়ে চাষ করা যেমনটা কষ্টসাধ্য তেমনটা সোনালী শস্য গুলোর ফলনও খুবই ভালো। তিনি  বিতরণকৃত উপকরণ গুলোর যথাযথভাবে ব্যবহার মাধ্যমে আত্ম কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।

এসময় বান্দরবানের জেলা – উপজেলা থেকে আগত ৮৬ জন নারী – পুরুষ উপকারভোগীদের মাঝে ২২টি ফুট পাম্প মেশিন, ২১টি পাওয়ার স্প্রে মেশিন, ১৯টি কাটার মেশিন, ২৪টি সেচ পাম্প মেশিন, ২০টি ফুট স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ৫০ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৯৯ বান ঢেউটিন বিতরণ করা হয়।

×