সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শিরোনাম:

বিলাইছড়িতে একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা সমাধান, স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ এএম
23 বার পড়া হয়েছে
বিলাইছড়িতে একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা সমাধান, স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা,

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় টু ডরমিটরি সংযোগকারী ব্রীজটি পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা কোনো সমাধান। বর্ষা মৌসুমে হ্রদের পানি বাড়লে পাকা ব্রীজটি পানির নিচে হয়ে যায়। কাঠের ব্রীজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। প্রতিবছর কাঠের ব্রীজটি মেরামতের খরচ লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই  লক্ষ টাকা। এভাবে মেরামত করতে হয়। সঠিক পরিকল্পনা অভাবে সরকারের টাকা বছরে বছরে বেশি অপচয় হয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখতে গিয়ে দেখা যায় যে, বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে ডরমিটরি পর্যন্ত প্রায় ৬০ মিটারে একটি কাঠের ব্রীজ। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শত শত শিক্ষার্থী পারাপার হচ্ছে। যেকোনো মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। নীচের দিকে অনেকগুলো কাঠের খন্ড ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোনো মূহুর্তেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর এই ব্রীজেই চলাচল করে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হায়দার জানান, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের পাঁচ- সাতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করছে এই ব্রীজের উপর দিয়ে। গত বছর ঈদুল আজহার পরে ব্রীজটি মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে চলাচলে প্রায় অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। রিক্স নিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথ চারীরা। বিগত সরকারের আমলে কাঠের ব্রীজটি নির্মাণের আগে যে পাকা ব্রীজটি নিমার্ণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও কত ফুট উপর দিয়ে করবে সেটা  না জানার কারণে  তা কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে পানির নীচে তলিয়ে যায়। ডুবে থাকে বছরে প্রায় কয়েক মাস। প্রতিবছর জুন- জুলাইয়ে  কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে পানির নীচে ডুবে যায়, অক্টোবর-নভেম্বরে শুকালে  ভেসে ওঠে। যার ফলে সে সময় পারাপার হতে পারে না। এর পরে সিদ্ধান্ত নেয় গাছের খুঁটি ও তক্তা দিয়ে তৈরি করে কাঠের শক্ত ব্রীজ। কিন্তু তক্তা ও গাছগুলো বর্ষায় ভিজে এবং গরমে শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এক বছরেও বেশি টিকে না। ফলে বছরে বছরে ঠিক করতে হয়। পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। যেকোনো মূহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ওমর ফারুক জানান, কাঠের ব্রীজ হলে প্রতি বছর ঠিক করতে হয়। এজন্য এসময়ে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করলে একেবারে স্থানীয় সমাধান হবে। বাজেটের তেমন প্রয়োজন হবে না। বিগত সময়ে  যে  পাকা ব্রীজটি নির্মাণে ভুল পরিকল্পনা ছিলো। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে যে ব্রীজটি পানির নীচে তলিয়ে যায় সে ধারণা তাদের জানা ছিলো না। এজন্য এক জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও সঠিক সমাধান এখনো হচ্ছে না।

এই বিষয়ে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, ডরমিটরি টু বিলাইছড়ি স্কুল সংযোগকারী এই ব্রীজটা আমি মনে করি বিলাইছড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্রীজ। এই ব্রীজ হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ছাত্র – ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসে অথচ এই ব্রীজটা  বর্তমানে এমন অবস্থায় আছে যে যেকোনো সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভেঙে পড়ে যেতে পারে। এই ব্রীজের উত্তর পাশে শুরুতে কাঠের অনেকগুলো খন্ড পড়ে গেছে। আবার কিছু কিছু অংশকে ধারণকারী খুঁটি ও বিম এমন ভঙ্গুর যে বিদ্যমান পাঠাতন গুলোকে নিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকি ঘটাতে  পারে। এমনকি জীবন নাশও হতে পারে।

তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত কামনা করছি আর এই ব্রীজটি যদি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখন ১০ মিনিটের এই পথ শিক্ষার্থীদেরকে দুই মাইল হয়ে আসতে হবে যেটা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সমস্যা সংকুল। এই কারণে সুজন দা কে পেয়ে আমি খুশি হলাম তাই বলছিলাম যদি সম্ভব হয় এই ব্রীজটা করা গেলে এই ব্রীজ হয়ে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারবে আর যদি ব্রীজটা পাকা হয় তখন এইদিকে শিক্ষার্থী ব্যতীত অনেক পথিক, সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি কর্মকর্তা এই পথ ধরে অফিসে কলেজে যেতে পারবে। তাই এই পথ ধরে চলাচলকারী সকল পথিক কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক শত শত শিক্ষার্থী সবার পক্ষে আমাদের স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে ব্রীজটিকে পাকা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, উপজেলা বরাদ্দ দিয়ে করলে বছরে অর্ধেক বরাদ্দ সেখানে লাগতে পারে। বাকী উন্নয়ন কি করবো। এজন্য ব্রীজটি নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ নতুবা উন্নয়ন বোর্ডের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। তবে ব্রীজটি নির্মাণে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই উর্ধ্বতন কর্তুপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, প্রজেক্টে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, পূর্ণাঙ্গ পাশ হলে তখন হবে। নির্মাণে প্রক্রিয়াধীন আছে। টাকা বরাদ্দ আসলে করে দেওয়া হবে। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য । প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার মানুষ পার হয়। আমি যেখানে থাকি আমার পাশে। আমি জানি। দ্রুত নির্মাণ কারার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বান্দরবানের শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্র প্রদর্শনী।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:০২ পিএম
বিলাইছড়িতে একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা সমাধান, স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান 

বান্দরবান প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবানে আগামী ২০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে “রোয়া-দ্ব” শিরোনামে বান্দরবানের চিত্র শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্রকলা প্রদর্শণী। এটি শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শণী।

এ উপলক্ষে আজ (১৪ ডিসেম্বর) একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে শিল্পীর দীর্ঘদিনের শিল্পচর্চার নির্বাচিত চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। এসব চিত্রে শিল্প কর্মের ফোকাস হলো সেই ভূমি, মানুষ এবং প্রকৃতি, মানবজীবন, সমাজ ও সমসাময়িক বাস্তবতার নানা দিক রঙ ও রেখা। যা তার জন্মস্থানের গল্প  বহন করে।

এখানে শিরোনমা হিসেবে মারমা ভাষায় ‘রোয়া-দ্ব’ শব্দটি নেয়া হয়েছে।  মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় বান্দরবানকে ডাকা হয় “রোয়া-দ্ব”, যার অর্থ বহন করে ‘রোয়া’ অর্থ গ্রাম আর ‘দ্ব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় সম্মানার্থে। এরই মাধ্যমে শিল্পী তার সৃষ্টিকর্মে দর্শকদের সঙ্গে অনুভূতির এক গভীর সংযোগ স্থাপন করতে চান।

আয়োজক খিংসাই  জানান,  প্রদর্শনীটি ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তী ২০ ডিসেম্বর থেকে  ২২ ডিসেম্বর  পর্যন্ত প্রর্দশনী হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

এছাড়াও ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত শিশু শিল্পীদের প্রতিকৃতি অংকন ও সংগীত সন্ধ্যা। ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা হতে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি বাদ্যযন্ত্রের বিশেষ পরিবেশনা। ২২ ডিসেম্বর সমাপনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে চিত্র প্রর্দশবী অনুষ্ঠানটি শেষ হবে বলে জানান আয়োজক চিত্র শিল্পী খিংসাই মারমা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই শিল্পচর্চা করে যাচ্ছেন।  তিনি দেশ-বিদেশে, জাতীয়ভাবে একাধিক দলীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিলেও  এটি তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শন। বান্দরবানে যথাযথভাবে হওয়া এটাই প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। জল রং, তেল রং ও চারকোল মাধ্যমে আঁকা ছোট বড় মিলিয়ে  ৩২ টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এই একক প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পচর্চাকে উৎসাহিত করা এবং তরুণ প্রজন্মকে শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তোলাই মূল লক্ষ্য। শিল্প প্রেমী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিমনা দর্শকদের প্রদর্শনীটি পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পী ছাড়াও প্রদর্শনীর আয়োজক, শিল্প সমালোচক, সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে প্রদর্শনীটি সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় রাজস্থলীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৫৩ পিএম
বিলাইছড়িতে একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা সমাধান, স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান 

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেলিনা আক্তার। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তৎকালীন পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল নিরপরাধ মানুষের ওপর সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নওশাদ খান, থানা অফিসার ইনচার্জ খালেদ হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল নোমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রাজু, সাংবাদিক আজগর আলী খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শান্তি রতন চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্মৃতি চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুরুল ইসলাম এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা লিজা চাকমা।

এছাড়াও দিবসের কর্মসূচিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বুদ্ধিজীবী আমাদের গড়ে তুলতে হবে —- ইউএনও হাসনাত জাহান খান 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:১৫ পিএম
বিলাইছড়িতে একই জায়গায় দুটি ব্রীজ হলেও মিলছেনা সমাধান, স্থায়ী পাকা ব্রীজেই একমাত্র সমাধান 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা,

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

বুদ্ধিজীবী আমাদের গড়ে তুলতে হবে বলে এমন মন্তব্য করেছেন ইউএনও হাসনাত জাহান খান। তিনি রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা কনফারেন্স রুমে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। যারা মেধাবী তাদেরকে এই দিনে হারিয়েছি। পাকহানাদারকে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ বাহিনী সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য আমরা শহীদুল্লাহ্ কায়সার ও মুনীর চৌধুরী দুই রত্নকে হারিয়েছি। সততার সহিত আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেজন্য প্রত্যেক ছেলে মেয়েদের ভালো শিক্ষা দিতে হবে। আজকের সন্তানরা আগামী দিনে বুদ্ধিজীবী হবে এবং দেশ ও জাতিকে যেন ভালোবাসে সে হিসেবে গড়ে তুলবেন। প্রচুর বই পড়তে হবে। দেশ সম্বন্ধে জানার বেশী জরুরি। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ (নিঃ) মোঃ মাসরুরুল হক, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ রনি সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক, উপজেলা প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন,  ইন্সট্রক্টর মোহাম্মদ বখতেয়ার হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা (ভা:) মোহাম্মদ গোলাম আজম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ছালেহ আহাম্মদ ভূইঁয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবিনয় চাকমা, আনসার ভিডিপি’র প্রশিক্ষক মো. মিজানুল হক এবং চার ইউনিয়ন পরিষদ সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রুবেল বড়ুয়া।

×