Dhaka , মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দফায় দফায় ভারী বর্ষণ পানির নিচে চট্টগ্রাম

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে
print news

 

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টির কারণে সড়কে পথচারীদের সমাগম ছিল কম, হালকা যানবাহনের দেখা মেলে। এছাড়া বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা থাকলেও পাহাড়ে বসবাসকারী কেউ বাড়ি ছেড়ে যাইনি আশ্রয়কেন্দ্রে।

 

চট্টগ্রামে বুধবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েই চলছে। এতে নগরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৯.৬ মিলিমিটার।

451847218 3870435529853307 1303983573354739482 n

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসে থেকে জানা যায়, গত রাত থেকে চট্টগ্রামে অব্যাহতভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বেলা ১২ টা পর্যন্ত যা ১৪৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এদিকে, ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চকবাজার, কাপাসগোলা, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকায় অনেক ঘরবাড়ির পাশাপাশি দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে রাস্তায় বের হওয়া কর্মজীবী মানুষ। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। পথচারীদের সূত্র মতে জানা যায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। কোনো কোনো সড়কে রিকশা ছাড়া চলাফেরা করা যায় না। এ কারণে রিকশা ভাড়াও বেড়ে যায়। বছরের পর বছর এ ভোগান্তি যেন শেষ হচ্ছে না আমাদের। অথচ সরকার এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

লংগদুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলা উদযাপন

দফায় দফায় ভারী বর্ষণ পানির নিচে চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
print news

 

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টির কারণে সড়কে পথচারীদের সমাগম ছিল কম, হালকা যানবাহনের দেখা মেলে। এছাড়া বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা থাকলেও পাহাড়ে বসবাসকারী কেউ বাড়ি ছেড়ে যাইনি আশ্রয়কেন্দ্রে।

 

চট্টগ্রামে বুধবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েই চলছে। এতে নগরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৯.৬ মিলিমিটার।

451847218 3870435529853307 1303983573354739482 n

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসে থেকে জানা যায়, গত রাত থেকে চট্টগ্রামে অব্যাহতভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বেলা ১২ টা পর্যন্ত যা ১৪৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

এদিকে, ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চকবাজার, কাপাসগোলা, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকায় অনেক ঘরবাড়ির পাশাপাশি দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে রাস্তায় বের হওয়া কর্মজীবী মানুষ। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। পথচারীদের সূত্র মতে জানা যায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। কোনো কোনো সড়কে রিকশা ছাড়া চলাফেরা করা যায় না। এ কারণে রিকশা ভাড়াও বেড়ে যায়। বছরের পর বছর এ ভোগান্তি যেন শেষ হচ্ছে না আমাদের। অথচ সরকার এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।