বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২
শিরোনাম:

দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৩৮ পিএম
36 বার পড়া হয়েছে
দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 

রুপম চাকমা, দিঘীনালা:

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দীঘিনালা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা বিএনপি। 

শহীদ মিনারে আগমনের সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর সন্তানদের স্মরণে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। পরে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওসমান গনি, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

কাপ্তাই হ্রদের পানি নিদিষ্ট সময়ে না কমালে  ব্যাহত হতে পারে বরো মৌসুমে ধান চাষ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা,

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটির  কাপ্তাই হ্রদের পানি নাব্যতা ধরে রাখতে বা নৌযান চলাচল করতে ধীরগতিতে পানি কমছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। যার ফলে পড়ে রয়েছে বীজতলা বা জালা ধান। ব্যাহত হচ্ছে বরো মৌসুমে ধান চাষ। এতে কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছেন জলে ভাসা জমি বা ফ্রিন্সল্যান্ডে চাষ করা কৃষাণ ও কৃষাণীরা। বাঁধের উপরে বসবাস করা বেশিরভাগ লোকজন জলে ভাসা জমির উপর নির্ভরশীল। বছরে একবার চাষ করতে পারে। সেটাও যদি করতে না পারে তাহলে নিরুপায় হয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক মাসের সময়ের ব্যাবধানে এবং খুবই ধীরগতিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমছে। ঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে না পারলে বর্ষার সময়ে ধান নিয়ে টানাটানি হবে। আগাম  বন্যা হলে তলিয়ে যাবে। গত বছরেও জুনে পানি এসেছে যার ফলে হাজারো কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। তাই এবছর এই সময়ে পানি কমানোর কথা থাকলে প্রায় স্থীর অবস্থায় রয়েছে বলে জানান অনেকে।

সরেজমিনে দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সামনে কুতুবদিয়া, ধুপ্যাচর, দীঘলছড়ি, আমতলা, ভালাছড়ি, মাইত কাবা ছড়া, গাইতবান, সাক্রাছড়ি, শেলচছড়ি  এলাকায় অনেক কৃষক বীজ তলা করেছে। তাদের জমিগুলো এখনো পাঁচ সাত হাত পানির নীচে ডুবে রয়েছে।

এইসব বিষয়ে ধূপ্যাচর এলাকার কৃষক আকাশ মার্মা জানান, গত বছরে নভেম্বরে ২৫ তারিখে বীজতলা (জালা ধান) করেছি। এবছরে ১২ ডিসেম্বর জালা (বীজতলা) ফেলেছি। চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কবে রোপন করবো। গত বছরে এই সময়ে প্রায় রোপনে শেষের দিকে। হ্রদের পানি এখনো টইটম্বুর। কবে ধান লাগবো কবে ধান ঘরে তুলবো। জলেভাসা জমি বছরে একবার করতে পারি। তাও সরকার ঠিক সময়ে পানি কমিয়ে দেয় না। মানুষ কিভাবে চলবে। সরকার কি এই বিষয়গুলো দেখবে। নাকি জানলেও না জানান ভান করে থাকে।

একিভাবে বাজার এলাকার কৃষক মো: ইউনূস জানান, ইদানীং প্রতিদিন ১ ইঞ্চির মতো পানি কমছে। আমি যেখানে বীজ তলা করেছি সেখানে প্রতিদিন মাপি। পানি কমছে না,একদম কমছে না। দ্রুত যদি পানি না কমানো হয় তাহলে ঠিক মতো ধান চাষ/ রোপন করতে পারবো না। ঠিক মতো রোপন করতে না পারলে যদি দেরীতে রোপণ করি তাহলে বর্ষা মৌসুমে টানা টানি হবে। যার ফলে খাদ্য ঘাটতি পড়তে পারে। একিভাবে বহলতলী, গাইতবান, সাক্রাছড়ি,শামুকছড়িসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকও একই কথা জানান। সদর এলাকায় সবেমাত্র নিত্যরঞ্জণ চাকমা, সুমিত রঞ্জন চাকমা, ক্যহ্লা মার্মা এবং প্রহর চাকমা সবেমাত্র ধান রোপন করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, নাব্যতা বা পানির গভীরতা ধরে রাখতে হয়তো পানি  কমাচ্ছেনা। বরো মৌসুমে ধান চাষ এখনি উপযুক্ত সময়। বীজতলা তৈরি ও ধান রোপণ করার প্রকৃত সময়। এখানকার জমিগুলো জলেভাসা জমি। যা সমতলের মতো নয়। পানি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে যেমনি রোপণ করতে হয়, তেমনি বাড়ানো সঙ্গে সঙ্গে কেটে ঘরে তুলতে হয়। কৃষি অফিস একমাসের অধিক আগে কৃষকদের মাঝে বীজ ধান, বিভিন্ন জাতের বীজ ও সার বিতরণ করেছে। পানি না কমানোর ফলে তারা রোপনের কথা বাদ দিলাম, চরগুলো না ওঠায় ঠিক মতো বীজ বপন পর্যন্তও করতে পারছে না।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, কাপ্তাই বাঁধ হওয়ার ফলে ৫৪ হাজার একর জমি পানি নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। তার মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার একরের মত। এখানকার মানুষের একমাত্র ভরঁসা জলে ভাসা জমি উপর। হ্রদে আগের মতো মাছও পাওয়া যায় না। এজন্য বছরে একবার চাষ করতে পারে সেটাও যদি ঠিক সময়ে চাষ বা ধান রোপন করতে না পারে তাহলে একেবারে শেষ হয়ে যাবে। তাই উচিত দায়িত্বে যারা রয়েছেন, নিদিষ্ট সময়ে পানি কমানো এবং নিদিষ্ট সময়ে কাপ্তাই বাধ বন্ধ করা। যেহেতু এখন কমানোর সময়।কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

এই বিষয়ে পিডিপি’র (PDB) ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা মিটিং-এ নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা প্রস্তাব করেছেন,নির্বাচন পর্যন্ত যাতে ব্যাপকভাবে পানি কমানো না হয়। অর্থাৎ আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নদীর পথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য যাতে পানি কমানো না হয়। সে লক্ষে পানি একটু ধীর গতিতে কমানো হচ্ছে। তবে  তিনি আরও জানান, তারপরেও এইসময়ে ১০৫ ফিট এমএসএল উচ্চতায় পানি থাকার কথা হলেও রয়েছে ৯৮ ফিট এমএসএল উচ্চতা। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।

তাই একই ভাবে শুধু বিলাইছড়ি উপজেলা নয়, বাঁধের উপরে রয়েছেন জুরাছড়ি, বরকল, লংগদু, বাঘাইছড়ি ও নানিয়াচর উপজেলার লাখো কৃষক। যাহাতে সঠিক সময়ে কৃষকরা ধান চাষ করতে পারে সে বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফী’ এবং পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।

​স্বপ্ন ছড়াচ্ছে বারি লাউ-৪ কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি কৃষি গবেষণায় নতুন দিগন্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৪ পিএম
দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই:

উচ্চফলনশীল ও পুষ্টিগুণে ভরপুর লাউয়ের নতুন জাত ‘বারি লাউ-৪’ (BARI Lau-4) চাষে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে রাইখালী পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত। এই গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রদর্শনী প্লটে এই লাউয়ের বাম্পার ফলন শুধু গবেষক ও কৃষকদেরই নয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেও নতুন করে আশান্বিত করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফলতা পাহাড়ী এলাকার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক নতুন দুয়ার খুলে দেবে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ২১ টি সবজি এবং ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তারই ধারাবাহিকতায় এবার বারি লাউ -৪ জাতের একটি সবজি পাহাড়ি অঞ্চলে ছড়িয়ে দেবার জন্য এর প্রজনন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের দৌঁড় গৌঁড়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে এখানকার কৃষি বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হতে গবেষণা কেন্দ্রের ১ একর জায়গা জুড়ে এর চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে। এর বীজ বপন করার ৭০ দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন ধরেছে। গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউ গাছে লাউ ঝুলছে।

গবেষণা কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে কথা হয় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসানের সাথে তিনি বলেন, পাহাড়ী অঞ্চলে লাউ চাষে সাধারণত ফলন কম হয় এবং রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এই সমস্যাগুলো সমাধানেই কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ‘বারি লাউ-৪’ নিয়ে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করা হয়। তিনি আরও বলেন, বারি লাউ-৪ এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ সহনশীল এবং সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য উপযোগী একটি জাত। গাঢ় সবুজ রঙের ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। গাছ প্রতি ১০-১২ টি ফল পাওয়া যায় এবং ফলের গড় ওজন ২.৫ কেজি। ফল লম্বায় ৪২-৪৫ সেন্টি মিটার এবং ব্যাস ১২-১৩ সেন্টি মিটার। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। জীবনকাল ১৩০ হতে ১৫০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন হয় ৮০ হতে ৮৫ টন। জাতটি তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় গ্রীষ্মকালে চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারে।

বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। গ্র্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়। আমরা লাউ চাষ করে সাধারণত তেমন লাভ করতে পারতাম না। কিন্তু রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রের দেখানো পদ্ধতিতে এই ‘বারি লাউ-৪’ চাষ করলে আমাদের ভাগ্য বদলে যাবে। লাউগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর ফলনও অবিশ্বাস্য!”

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কেন্দ্রের এই সাফল্যকে মডেল হিসেবে ধরে শীঘ্রই পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ী এলাকায় ‘বারি লাউ-৪’ এর বীজ ও চাষাবাদের পদ্ধতি ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পাহাড়ী কৃষকরা শুধু নিজেদের পুষ্টির চাহিদাই মেটাতে পারবে না, বরং বাড়তি ফলন বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবেও স্বাবলম্বী হতে পারবে।

এসময় কথা হয় রাইখালী ইউনিয়নে জগনাছড়ি কৃষক পাইসুইউ মারমা সাথে তিনি বলেন, আমরা লাউ চাষ করে সাধারণত তেমন লাভ করতে পারতাম না। কিন্তু রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রের দেখানো পদ্ধতিতে এই ‘বারি লাউ-৪’ চাষ করলে আমাদের ভাগ্য বদলে যাবে। লাউগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর ফলনও অবিশ্বাস্য ! “তবে পাহাড়ি কৃষি গবেষণায় খুব ভাল। আমার বাড়ি পাশে এই প্রতিষ্ঠানটি আমি প্রতিনিয়ত ওখান থেকে চারা নিয়ে থাকি। গত মাসে আমি এই গবেষণা কেন্দ্র হতে বারি লাউ – ৪ এর বীজ ও সার নিই। তাঁরা আমাকে বিনামূল্যে এইগুলো দেন। এক বিঘা জমিতে আমি এর চাষ করি। বর্তমানে চারা গুলো অনেক বড় হয়েছে। আশা করি ভালো ফলন হবে।

 

ছবির ক্যাপশন: রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বারি লাউ, – ৪ এর ছবি।

খাগড়াছড়িতে ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:২৮ পিএম
দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

 

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :

খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী ওয়াঁদুদ ভূইয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানের শীর্ষে মনোনীত প্রার্থীর ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেদারুল ইসলাম, রামগড় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট করিম উল্লাহ, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূইয়া ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হলেও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আদালত তাকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ (সপ্তম) সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রাার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তবে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেন। ১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে তিনি রেকর্ড এক লক্ষেরও অধিক ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের বিএনপি সরকারে আমলে ২০০২ সালে ওয়াদুদ ভূইয়াকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ওয়াদুদ ভুইয়া ২০০২ সালে তিনি সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নিযুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

খাগড়াছড়ি ২৯৮ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান বাবু সমীরণ দেওয়ান। সোমবার বিকেল ৪ টায় জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় থেকে বাবু সমীরণ দেওয়ান পক্ষে মনোনয়ন গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু পুরুষোত্তম চাকমা।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতা গফুর তালুকদার, যুব নেতা সাইফুল ইসলাম, বাবু বিদর্শী চাকমা, নারী নেত্রী পরিনীতা দেওয়ান, উক্রাচিং মারমা সহ আরও অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন আসনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ভোটার সবচেয়ে সংখ্যা বেশি ৫ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ জন। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, জেলায় বাঙালি ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা প্রায় সমান।

×