দেশের শিল্পগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা আমাদের প্রধান কাজ” —— শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন

রিপন মারমা, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
অন্তর্বতীকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন বলেন, আমরা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে এই মিলকে কিভাবে নতুন করে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা করছি। এই মিলের পরিচালনা পদ্ধতি ব্যক্তি মালিকানাধীন হবে নাকি সরকারি মালিকানায় থাকবে এর সম্ভবনা নিয়ে চিন্তা করছি। ২০২২ সালে এই মিলের উপর যে পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে আজকে আমাদের পর্যবেক্ষণ। আমাদের দেশের শিল্পগুলোকে কাজে লাগিয়ে সরকারের স্বল্প সময়ে আমরা অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এখন আমাদের প্রধান উদ্যোশ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মিলের যে যন্ত্রপাতি গুলো আছে এটা দিয়ে বেশী ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব নয়। যেহেতু এর সাথে আর্থিক সম্পৃক্ততা আছে, তাই এর প্র্যাকটিক্যাল দি়ক কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেটাও ভাবছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আজকে আমরা সরাসরি কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শনে এসে সার্বিক পরিস্থিতি অবগত হলাম। কেপিএম এর অনেক জায়গা আছে। কিন্তু বিদেশি ক্যামিকেল এর উপর নির্ভর না করে দেশের কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম এর উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াই টায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে তিনি এদিন বেলা ১২ টায় কেপিএম গেস্ট হাউজে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো: ফজলুর রহমান, কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড: এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক সহ কেপিএম এর সকল বিভাগীয় প্রধান এবং সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এসময় প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হিসাবে পাল্প এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপন করার জন্য ১ শত ২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে একটি নতুন পেপার মিল স্থাপন করা প্রয়োজন।