শিরোনাম:

থানচিতে আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

থানচিতে আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

 

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের থানচিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দীর্ঘ ১৩ মাস পর আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সীমিত পরিসরে রুমা ও থানচি উপজেলার আংশিক দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ জুন) ২০২৫ থেকে থানচির তুমা-তুঙ্গী ও তিন্দু পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। পর্যটক ভ্রমণে আংশিক পর্যটন স্পষ্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নির্দেশিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির গত ০৩ জুন তারিখর সভার সিদ্ধান্ত ও সদর দপ্তর, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড, বান্দরবান সেনানিবাসের ০৫ জুন তারিখের ১৪০/৫৯/জিএস (ইন্ট) পত্রের আলোকে থানচি-রুমা উপজেলায় অদ্য ০৬ জুন তারিখ হতে পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে।

 

আরো জানা গেছে, থানচিতে মদক অভিমুখে তিন্দুমুখ পর্যন্ত এবং বাকলাই পাড়া অভিমুখে তমাতঙ্গি পর্যন্ত। রুমায় বাজার হতে মুনলাই পাড়াসহ বগালেক পর্যন্ত ভ্রমণে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না। পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট অথবা পর্যটক তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে। সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপর্যুক্ত স্থান সমূহ ব্যতীত আর অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৩৮, বিজিবি ব্যাটালিয়ন বলিপাড়া জোনের অধিনায়ক, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ জহিরুল ইসলাম জি, আর্টিলারি বলেন, থানচিতে মদক অভিমুখে তিন্দুমুখ পর্যন্ত এবং বাকলাই পাড়া অভিমুখে তমাতঙ্গি পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সবগুলো পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে।

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

থানচিতে আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই নতুন বাজার ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২টায় ভ্রম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন, কাপ্তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রুহুল আমিন।

তিনি জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্য তৈরি এতে জীবনহানির আশঙ্কা থাকায় কাপ্তাই হোটেলকে ৩ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না রাখায় রাউজান স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি সভাপতি লোকমান আহমেদ, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ ও বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় ধুমপান বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচারণা করা হয়।

 

ছবি ও ক্যাপশন- কাপ্তাই নতুন বাজার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালোনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

থানচিতে আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের আয়োজনে মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তাগণ বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষতা ও প্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতায় মনোনিবেশের জোর আহ্বান জানান।

রবিবার (২৯ জুন) দুপুর দুই টায় রাজস্থলী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আজগর আলী খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি চাইথোয়াইঅং মারমা, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্ল্যাহ মিজবা, কোষাধ্যক্ষ নুশরাত জাহান নিশু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন খান, কার্যকরী সদস্য উচ্চপ্রু মার্মা সহ প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক বিস্তারের ফলে সংবাদ পরিবেশনের গতি যেমন বেড়েছে, তেমনি গুজব ও মিথ্যা তথ্য রোধেও সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আজগর আলী খান বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য সংবাদ উপস্থাপন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং সততা— এই তিন গুণ একজন সাংবাদিককে প্রকৃত অর্থে সফল করে তোলে।’

এ সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্ল্যাহ মিজবা বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য আধুনিক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগও গ্রহণ করা হবে।’ সভায় রাজস্থলীতে  সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জোরালো আলোচনা হয়।

এছাড়া, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠপর্যায়ে রিপোর্টিং দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভা শেষে সভাপতি আজগর আলী খান আগত সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরে এক অনাড়ম্বর চা-চক্রের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

রাঙ্গামাটিতে ভাষা সংরক্ষণ কর্মশালায় নিজেদের আত্মপরিচয়, ভাষা ও বর্ণমালা মূল স্রোতধারার সাথে সংরক্ষণের দাবি

থানচিতে আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

মিকেল চাকমা, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রবিবার (২৯ জুন) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য

জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) খোন্দকার রিজাউল করিম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এর অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও প্রশিক্ষণ) আবুল কালাম।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, একটি জাতি কখনো ক্ষুদ্র হতে পারে না। ভাষা একটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ করা খুবই জরুরী এবং মাতৃভাষা রক্ষায় আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যার জনগোষ্ঠী অনেক কম। তাদেরও ভাষা আছে। কিন্তু ভাষা সংরক্ষণ না করার কারণে তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

এসময় বক্তারা মূলস্রোতধারা ভাষা বাংলার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিসত্ত্বাদের ভাষা, সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও মর্যাদার দাবি জানিয়েছে।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন জুম ঈসথেথিকস এর সভাপতি, কবি ও লেখক শিশির চাকমা, বিএম ইনষ্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউটের এর গবেষণা কর্মকর্তা শুভ্র জ্যোতি চাকমা, উন্নয়ন কর্মী ঝুমালিয়া চাকমা, তরুণ লেখক আশাধন চাকমা প্রমুখ।

কর্মশালায় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ৪২ জন অংশ গ্রহণ করেন।

×