শিরোনাম:

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই নতুন বাজার ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২টায় ভ্রম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন, কাপ্তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রুহুল আমিন।

তিনি জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্য তৈরি এতে জীবনহানির আশঙ্কা থাকায় কাপ্তাই হোটেলকে ৩ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না রাখায় রাউজান স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি সভাপতি লোকমান আহমেদ, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. ইলিয়াছ ও বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় ধুমপান বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচারণা করা হয়।

 

ছবি ও ক্যাপশন- কাপ্তাই নতুন বাজার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালোনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের আয়োজনে মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তাগণ বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষতা ও প্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতায় মনোনিবেশের জোর আহ্বান জানান।

রবিবার (২৯ জুন) দুপুর দুই টায় রাজস্থলী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আজগর আলী খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি চাইথোয়াইঅং মারমা, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্ল্যাহ মিজবা, কোষাধ্যক্ষ নুশরাত জাহান নিশু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন খান, কার্যকরী সদস্য উচ্চপ্রু মার্মা সহ প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক বিস্তারের ফলে সংবাদ পরিবেশনের গতি যেমন বেড়েছে, তেমনি গুজব ও মিথ্যা তথ্য রোধেও সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আজগর আলী খান বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য সংবাদ উপস্থাপন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং সততা— এই তিন গুণ একজন সাংবাদিককে প্রকৃত অর্থে সফল করে তোলে।’

এ সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্ল্যাহ মিজবা বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য আধুনিক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগও গ্রহণ করা হবে।’ সভায় রাজস্থলীতে  সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জোরালো আলোচনা হয়।

এছাড়া, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠপর্যায়ে রিপোর্টিং দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভা শেষে সভাপতি আজগর আলী খান আগত সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরে এক অনাড়ম্বর চা-চক্রের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

রাঙ্গামাটিতে ভাষা সংরক্ষণ কর্মশালায় নিজেদের আত্মপরিচয়, ভাষা ও বর্ণমালা মূল স্রোতধারার সাথে সংরক্ষণের দাবি

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

মিকেল চাকমা, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রবিবার (২৯ জুন) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য

জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) খোন্দকার রিজাউল করিম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এর অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও প্রশিক্ষণ) আবুল কালাম।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, একটি জাতি কখনো ক্ষুদ্র হতে পারে না। ভাষা একটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ করা খুবই জরুরী এবং মাতৃভাষা রক্ষায় আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যার জনগোষ্ঠী অনেক কম। তাদেরও ভাষা আছে। কিন্তু ভাষা সংরক্ষণ না করার কারণে তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

এসময় বক্তারা মূলস্রোতধারা ভাষা বাংলার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিসত্ত্বাদের ভাষা, সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও মর্যাদার দাবি জানিয়েছে।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন জুম ঈসথেথিকস এর সভাপতি, কবি ও লেখক শিশির চাকমা, বিএম ইনষ্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউটের এর গবেষণা কর্মকর্তা শুভ্র জ্যোতি চাকমা, উন্নয়ন কর্মী ঝুমালিয়া চাকমা, তরুণ লেখক আশাধন চাকমা প্রমুখ।

কর্মশালায় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ৪২ জন অংশ গ্রহণ করেন।

রাজস্থলীতে উপজেলা টাস্কফোর্সের তামাক আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

কাপ্তাইয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, রাঙ্গামাটি রাজস্থলী  উপজেলা মডেল মসজিদ সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এক দিন ব্যাপী  প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র,র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপজেলা মেডিকেল অফিসার সৌরন্দ্র বড়ুয়া ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা’ এবং ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

এ সময় রিসোর্স পার্সন হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রাজস্থলী সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আজগর আলী খান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রাজু, বিএপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান শেখ, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার, যুবদলের আহবায়ক শামীম আহম্মেদ রুভেল, জামাত ইসলামের আমির মৌলনা ফরিদ আহম্মদ, সহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, স্থানীয় হেডম্যান কার্বারী ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগে করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে একমত হয়েছেন। কর্মসূচির মাধ্যমে তামাকবিরোধী আইন জানতে ও প্রয়োগে সরকারি-সমাজসহ সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণে আলোচিত প্রধান বিষয়সমূহ পাবলিক প্লেস ও যানবাহনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পদ্ধতি, তামাকবিরোধী প্রচার, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ। তামাক কোম্পানির প্রভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ।

×