শিরোনাম:

থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর এক পরিবার

থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর এক পরিবার

 

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে সীমান্ত রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বম সম্প্রদায়ের থান্দুই পাড়া বাসিন্দা কেএনএফের ভয়ের পালিয়ে যাওয়ার এক পরিবার ফিরেছেন। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহায়তায় গ্রামে ফিরে আসার ৭ সদস্যদের এক পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।

নিজ বসতবাড়িতে ফিরে লাল বিয়াক সাং বম (৪০ বছর) বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে তাঁরা পাড়ায় আসতে পারেননি। সেনাবাহিনীর কারণে নিজ থান্দুইপাড়ায় পরিবারসহ ফিরতে পেরে খুবই আনন্দবোধ করছেন। এদিকে বাকলাই পাড়া সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা বম জনগোষ্ঠীর পান্দুই পাড়া বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবা ও সুস্বাদু খাবার বিতরণ করেন। দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসার পরিবারের ৭ সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসাসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এবং তাদের মাঝে শুকনা খাবার (পরিবারকে চাল ১০ কেজি, আটা ৩ কেজি, চিনি ৩ কেজি, তেল ২ কেজি, ডাল ২ কেজি, লবণ ১ কেজি, চা- পাতা ১ কেজি ও মসলা সামগ্রী) প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

থান্দুই পাড়ার প্রধান কারবারিসহ কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, “২০২৩ সালে মাঝামাঝি হতে পাড়ায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যদের অত্যাচার এবং নিপিড়নে ক্রমানয়ে পারা হতে অনেক পরিবার জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে পুনরায় ৫ টি পরিবারের মোট ২৩ জন সদস্য আমরা পাড়া পুনর্গঠন শুরু করি। এরই মাধ্যমে একটি একটি করে পরিবার পাড়ায় ফিরে আসছে। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুনরায় পাড়াটিকে আগের মত সুন্দর করতে পারব বলে আশা করি।”

অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট জানান, বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা, চিকিৎসা সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি ব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট ছিল, আছে এবং থাকবে। এছাড়াও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে তিনি ব্যক্ত করেন।

স্মরণ ও শ্রদ্ধা কাপ্তাইয়ে মহান বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য কর্মসূচী

থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর এক পরিবার

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায়  কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্ণফুলী মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মার্চপাস্ট, শিশু কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

এসময় পুলিশ, আনসার,নৌ স্কাউটস্, রোভার ও গার্লস গাইড সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

এসময় কাপ্তাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেলী রুদ্র থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক এবং সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে কাপ্তাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মাধ্যমে জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ

থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর এক পরিবার

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ : 

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ই ডিসেম্বর)২৫ খ্রিঃ সকালে রাঙ্গামাটি রির্জাভ বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ জেলার একাধিক স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্যালুট প্রদানের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, (পিপিএম) এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, শহিদ মিনার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধ, শহীদ এম. এ. আলী স্মৃতিস্তম্ভ সহ শহীদ এম. শুক্কুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এর আগে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দলের তোপধ্বনির মাধ্যমে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোছাইন, (পিপিএম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, (পিপিএম)অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ তারেক সেকান্দার, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) মোজাম্মেল হকসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রত্যয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

রামগড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ পালিত

থানচিতে দীর্ঘ এক বছর পরে গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর এক পরিবার

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড়ঃ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার (স্মৃতিস্তম্ভে) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কাজী মোহাম্মদ শামীমের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন।

এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রামগড় পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, রামগড় থানা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, রামগড় প্রেস ক্লাব, যুবদল, মহিলা দল, উপজেলা জিয়া পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, পাহাড়িয়া সোসাইটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শামীম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. বাহার উদ্দিন, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

×