জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৈত্রী বিহারে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

মিকেল চাকমা, রাঙ্গামাটিঃ
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব ২০২৫ জাতীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৪:০০টায় রাঙ্গামাটি শহরে ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মৈত্রী বিহারে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সভা শ্রদ্ধালংকার মহাথের, ভবুদ্ধ দত্ত মহাথের, মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ পূর্ণজ্যোতি মহাথের ও শীলানন্দ মহাথের উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ট্রাস্টের সহসভাপতি ভবেশ চাকমা ও ট্রাস্টি মংহ্লা চিং।
বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাঞ্ছিতা চাকমা, বিজয় কেতন চাকমা, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী রনজিত দেওয়ান, সাবেক যুগ্ম জেলা জজ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রতুল দেওয়ান, রাবিপ্রবি-র কম্পিউটার সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পিবিএল সভাপতি রনজ্যোতি চাকমা, মৈত্রী বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূণেন্দু বিকাশ চাকমা, ডা: পরশ খীসা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা ও অ্যাড. সুস্মিতা চাকমাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ভবেশ চাকমা জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎস উদযাপন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট বাংলাদেশের বৌদ্ধদের বিষয়াবলি সরকারের কাছে তুলে ধরে। কেবল ধর্মীয় দিক থেকে নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও প্রবারণা ও কঠিন চীবরদান বৌদ্ধদের অন্যতম জাতীয় উৎসব। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তরফ থেকে প্রবারণা উপলক্ষ্যে ১ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। একই সাথে বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ দেশের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও একাত্মতাবোধ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে চলতি বছর থেকে জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসব রাঙ্গামাটিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।