চট্টগ্রামে ত্রিপুরা কল্যাণ ফোরামের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিরসরাই ইপিজেড শাখার উপ-কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়িঃ
চট্টগ্রাম মহানগর ত্রিপুরা কল্যাণ ফোরামের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিরসরাই উপজেলা ইপিজেড শাখার উপশাখা কমিটির গঠন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) মিরসরাইয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জুয়েল ত্রিপুরা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রকি ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীনময় রোয়াজা, অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম অঞ্চল। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি সুরেশ বরণ ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নূর আলম, সভাপতি, মিরসরাই উপজেলা প্রেসক্লাব; হরি সাধন বৈষ্ণব, সভাপতি, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (রামগড় উপজেলা শাখা); সুরজিত ত্রিপুরা, হেডম্যান, ১৮৮নং খেদাছড়া মৌজা; ধন রঞ্জন ত্রিপুরা, সভাপতি, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম মহানগর শাখা); লিটন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম (রামগড় উপজেলা শাখা); জুনিয়া ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম (চট্টগ্রাম জেলা শাখা); এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উষা ত্রিপুরা, কমল বিকাশ ত্রিপুরা, রনজিত ত্রিপুরা, উপা মোহন ত্রিপুরা, নির্মল ত্রিপুরা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অতিথিরা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। আয়োজকের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় পরিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়।
প্রথম অধিবেশনে বক্তারা বলেন, “অরাজনৈতিকভাবে সামাজিক সচেতনতা, মানবিক সহায়তা, শিক্ষার প্রসার এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে।” আলোচনা শেষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে গেস্ট অব অনার বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা নতুন কমিটির সদস্যদের অরাজনৈতিক শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে অনিল ত্রিপুরাকে সভাপতি, দিপু ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক ও মিজন ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৮ সদস্য বিশিষ্ট মিরসরাই উপজেলা ইপিজেড শাখার উপকমিটি গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ত্রিপুরা রিনাই ও রিসা পরিধান করে ত্রিপুরা গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।














