শিরোনাম:

তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ছাত্র ফোরামের বিক্ষোভ

তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ছাত্র ফোরামের বিক্ষোভ

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ রাঙামাটি থেকে ফিরে :

তামাক চাষের জন্য বন ও পাহাড় উজাড় করা হচ্ছে। তামাককে না বলি, নিরাপদ সমাজ গড়ি। “তামাক চাষ বন্ধ চাই-নিরাপদ সমাজ চাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য ছাত্র ফোরাম রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় তামাক চাষ বন্ধের বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ’২৫ খ্রিঃ বিকেলে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত মিছিল করে ছাত্র ফোরাম।

সচেতন ছাত্র সমাজকে নিয়ে মাদক এর বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই পার্বত্য ছাত্র ফোরাম এর মুল লক্ষ্য। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ হাবীব আজম, মিনহাজ মুরশিদ, পার্বত্য ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম তাজের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য ছাত্র ফোরামের রাঙ্গামাটি জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলমগীর, পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাক চাষের কারণে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, কারণ এটি মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে নেয় এবং মাটির রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে। তামাক চাষের জন্য বন উজাড় করে জমি পরিষ্কার করা হয়, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। এছাড়াও, তামাক চাষের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং উর্বর কৃষি জমি কমে যায়। তামাক গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে, যার ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায় এবং তা অনুর্বর হয়ে পড়ে। তামাক চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মাটির স্বাভাবিক গঠন ও রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি সাধন করে। তামাক চাষে ঘন ঘন জমি চাষ করা হয়। এবং বন উজাড় করা হয়, যা মাটি ক্ষয়কে বাড়িয়ে তোলে।

বক্তারা আরও বলেন, তামাক চাষের জন্য বন ও পাহাড় উজাড় করা হয়, যার ফলে জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে এবং অনেক প্রাণী তাদের বাসস্থান হারায়। খাদ্য শস্য চাষের জমি তামাক চাষে ব্যবহৃত হওয়ায় খাদ্য শস্যের উৎপাদন কমে যায়, যা স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংকট তৈরির আশঙ্কা তৈরি করে। তামাক শুকানোর জন্য বিপুল পরিমাণে কাঠ পোড়ানো হয়, যা বায়ুদূষণ ও বন উজাড়ের জন্য দায়ী।

একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, পৃথিবীর ২-৩% বন ধ্বংসের জন্য তামাক চাষ দায়ী। পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাক চাষ বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অন্যথায় আরো ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে নেতৃবৃন্দরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমিতে তামাক চাষ সহ পরিবেশ ক্ষতিকারক কোন চাষাবাদ যেন করা না হয়। এই ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশের সুরক্ষার জন্য আইন করে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

স্মরণ ও শ্রদ্ধা কাপ্তাইয়ে মহান বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য কর্মসূচী

তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ছাত্র ফোরামের বিক্ষোভ

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায়  কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্ণফুলী মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মার্চপাস্ট, শিশু কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

এসময় পুলিশ, আনসার,নৌ স্কাউটস্, রোভার ও গার্লস গাইড সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

এসময় কাপ্তাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেলী রুদ্র থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক এবং সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে কাপ্তাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মাধ্যমে জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ

তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ছাত্র ফোরামের বিক্ষোভ

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ : 

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ই ডিসেম্বর)২৫ খ্রিঃ সকালে রাঙ্গামাটি রির্জাভ বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ জেলার একাধিক স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্যালুট প্রদানের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, (পিপিএম) এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, শহিদ মিনার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধ, শহীদ এম. এ. আলী স্মৃতিস্তম্ভ সহ শহীদ এম. শুক্কুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এর আগে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দলের তোপধ্বনির মাধ্যমে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোছাইন, (পিপিএম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, (পিপিএম)অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ তারেক সেকান্দার, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) মোজাম্মেল হকসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রত্যয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

রামগড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ পালিত

তামাক চাষ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ছাত্র ফোরামের বিক্ষোভ

 

সাইফুল ইসলাম, রামগড়ঃ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার (স্মৃতিস্তম্ভে) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কাজী মোহাম্মদ শামীমের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন।

এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রামগড় পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, রামগড় থানা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, রামগড় প্রেস ক্লাব, যুবদল, মহিলা দল, উপজেলা জিয়া পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, পাহাড়িয়া সোসাইটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শামীম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. বাহার উদ্দিন, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

×