কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দকে অকৃত্রিম ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনা জানালেন উপজেলা শিক্ষক পরিবার

উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনার উদ্যোগ
কাউখালী প্রতিনিধিঃ
ব্যান্ডদলের বাদ্যযন্ত্রে জয়ধ্বনিতে সম্মান জানালো বিগত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অবসরে যাওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সকল শিক্ষকবৃন্দকে রাজকীয় স্বকীয়তার মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে উপজেলার ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিদায়ী শিক্ষকবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কাউখালী উপজেলার ইউএনও কাজী মোঃ আতিকুর রহমান। বাদ্যযন্ত্রের সুরের মুর্ছনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রার র্যালির মাধ্যমে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিষদ অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয় এবং উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।
কাউখালী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ এজহার মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোঃ আতিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি আওয়ালীন খালেক, পোয়াপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করুণাময় চাকমা, ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুর্শে মারমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শিবলী সফিউল্লাহ, ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দ্রা দেওয়ান, তালুকদার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিউটন চাকমাসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক এবং ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
সংবর্ধনা অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, পোয়াপাড়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র রোয়াজা, কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদের তালুকতার, ঘাগড়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্যামল মিত্র চাকমা, বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম, সহকারী শিক্ষক ক্যাথুয়াইপ্রু মার্মা, আবুল কাশেম প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, প্রাক্তন শিক্ষকরা দেশের সম্পদ, সুদীর্ঘকাল ৩০/৪০ বছর যাবত চাকরিজীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের যে জ্ঞানের দিশারি হয়ে আলোকিত করে তুলেছেন আজ তাদের জীবন বিপন্ন হয়নি। আজ তাদের শিক্ষাদানে শত শত, হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষালাভ করেছে। এই বিদায় অনুষ্টানটি বিদায় সংবর্ধনা না, এটা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দকে স্মরণ করা। এই অুষ্টানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাগ্রত করা ও পরবর্তীতে পথ দেখানো। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান, চারা বিতরণ করে বিভিন্ন ফলজ বাগান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করে উৎপাদনমূখী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্ববান জানান তিনি। এই ধরনের আয়োজনকে পরবর্তী বিদায়ী শিক্ষকদেরকে স্মরণ রাখার একটি মহতী উদ্যোগ বলে প্রশংসার দাবীদার বলে জানান।
আলোচনা সভা শেষে সংবর্ধিত সকল শিক্ষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান সহ দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্টানে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এই ব্যতিক্রম উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ প্রকাশ করেন।