ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংহতি ও ভোটাধিকার সচেতনতায় খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংহতি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে দীঘিনালা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র বাস্তবায়নে “আস্থা” প্রকল্প কর্তৃক গঠিত “আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, দীঘিনালা” এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্যের মাধ্যমে উদ্বোধনী পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। পরে ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রতিপাদ্য ভিত্তিক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। সভার কক্ষে ‘নির্বাচন ভোটাধিকার মুক্তপাক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক’, ‘টাকার বিনিময়ে ভোট দুর্নীতির বীজ বপন’, ‘নারী কিংবা পুরুষ নয়, ভোটার আমার পরিচয়’— এমন বার্তাসংবলিত পোস্টার সাঁটানো ছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা-আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক ধনেশ্বর দেওয়ান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিজয় চাকমা এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্য চন্দনা চাকমা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ভোট একটি নাগরিক অধিকার, পাশাপাশি এটি একটি মহৎ দায়িত্বও। ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক ভোটারের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পেতে পারে না। তাই টাকার বিনিময়ে কিংবা প্রলোভনে নয়, স্বাধীন বিবেক ও সচেতন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভোট প্রদান করতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে উদ্বুদ্ধ করবে।”
অনুষ্ঠানে ফিল্ড অ্যাসোসিয়েট পপেন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টিং অফিসার মিহির কান্তি ত্রিপুরা আস্থা প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর তথ্যমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আলোচনা শেষে প্রথমবারের ভোটার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে মক ভোটিং আয়োজন করা হয়, সেখানে নেতৃত্ব দেন আস্থা ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ২০২৩ সাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলায় “আস্থা” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলায় ৩০ সদস্যবিশিষ্ট ‘আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ’ গঠন করা হয়েছে, যারা স্থানীয় পর্যায়ে ভোটাধিকার সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।