শিরোনাম:

বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উপজেলার সব বৌদ্ধ বিহারে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে প্রবারণা পর্যন্ত এ তিন মাস বর্ষাবাসের পর প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সাধনা লাভের জন্য এই তিন মাস আত্মশুদ্ধি ও মনের পবিত্রতার জন্য ভাবনা, ধ্যান, সাধনা অনুশীলন করেন।

দিনটি উপলক্ষে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে কুতুব দিয়া সদ্ধর্মোদয় বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দেশ ও জাতির সুখ ও মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। পরে বুদ্ধের উদ্দেশ্য ফুল পূজা, বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দানসহ নানাবিধ দানীয় সামগ্রীর আয়োজন করা হয়। এতে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন নতুন মনি তঞ্চঙ্গ্যা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটি উপদেষ্টা রঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা, মনিষা দেওয়ান এবং এ্যাড. বিমল তঞ্চঙ্গ্যা, মেম্বার বাবুলাল তঞ্চঙ্গ্যা, বিহার কমিটির সভাপতি জয়তুন তঞ্চঙ্গ্যা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট দায়ক নুনু তঞ্চঙ্গ্যা, দীলিপ তঞ্চঙ্গ্যা, সুমন্ত তঞ্চঙ্গ্যা, প্রিয় রতন তঞ্চঙ্গ্যা, দিবাকর তঞ্চঙ্গ্যা, সোনাধন তঞ্চঙ্গ্যা, বর্ষা মার্মা, শ্রাবন্তী তঞ্চঙ্গ্যা সহ শতশত দায়ক-দায়িকা ও পুর্ণ্যার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১২ই অক্টোবর ৬ষ্ঠ সংগীতিকারক প্রয়াত রাজগুরু জন্মস্থান কুতুব দিয়া সদ্ধর্মোদয় বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।

এইদিনটি ঘিরে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় আকাশে রঙিন ফানুস উড়ানো হয়। বিহারে আগত ভক্তরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে স্বধর্ম দেশনা শ্রবণ করেন।

বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ চন্দ্র কীর্তি ভিক্ষু জানান, তিন মাস বর্ষাবাসের পর এ প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। প্রবারণার অর্থ সকলের কায়িক ও মনের বাসনা পূরণের জন্য, কারো যদি ভূল-ত্রুটি হয়ে থাকে, এগুলো একে অপরের ক্ষমা, মৈত্রী নিয়ে থাকাটাই হচ্ছে প্রবারণা। এক কথায় কোনো হিংসা-বিদ্বেষ যাতে না থাকে এবং সকল প্রাণী সুখী হয়।

এছাড়াও মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পুর্ণিমা পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। এছাড়াও একইভাবে উদযাপন করেন, দীঘল ছড়ি, ধূপ্যাচর, কেরন ছড়ি, আমতলী, বাঙ্গালকাটা, মাছকাবা ছড়া – বহলতলী, সাক্রাছড়ি, দোসরীপাড়া, ধুপশীল, তিনকুনিয়া, মালুম্যা, চাইন্দা, উলুছড়ি, ধুপপানি, তক্তানালা, ওড়াছরি, এগুজ্যা ছড়ি, গোয়াইনছড়ি, তাড়াছড়ি এবং তাংকইতাং বৌদ্ধ বিহার সহ উপজেলার প্রায় ৬০টি বৌদ্ধ বিহার।

দেশে এখন দূর্যোগপূর্ন সময় পার হচ্ছে– মংশৈ ম্রাই

বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

 

চিংথোয়াই অং মার্মা,
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বান্দরবান জেলা আহবায়ক কমিটি সদস্য মংশৈ ম্রাই বলেছেন– দেশের আইন শৃঙ্খলা অবনতি, দ্রব্যমূল্য সীমাহীন, উচ্চ গতিতে বেকার সমস্যা বাড়ছে দিন দিন। দেশে এখন দূর্যোগপূর্ন সময় পার হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ শূণ্য কোটায়। সব মিলে হযবরল অবস্থা তাই এই সরকারের উচিত দ্রুত সময়ের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে সঠিক সময়ে মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতা মসনদে আসীন হবে কারণ দেশে জনগণের এখন বুঝে জনবান্ধন দল হচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতা আসলে পাহাড়ের ও উন্নয়নে জোয়ার চলে আসবে। সম্প্রতিক গত বৃহস্পতিবার সকালে তিন্দু ইউনিয়নের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় সকল নেতাকর্মীদের উদ্দাত্ত আহ্বান জানিয়ে মংশৈ ম্রাই আরো বলেছেন, দূর্গম অঞ্চলে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এবং গ্রুপিং রাজনীতি পরিহার করে দেশ নায়ক তারেক রহমান নির্দেশ পালন করতে হবে। আসছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ে অবস্থানরত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি শৈবাথোয়াই মারমা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি উবামং মারমা, উচমং মারমা, ক্যসানু মারমা, কৃষক দলের আহবায়ক মংসাগ্য মারমা, চসিংমং মারমা প্রমূখ।

এছাড়াও তিন্দু ইউপি মেম্বার ও যুব দলের নেতা উহ্লামং মারমা, সাবেক মেম্বার হ্লাথোয়াইচিং মারমাসহ বিএনপি দলে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন উদ্যম ফাউন্ডেশনের বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা

বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটিঃ

সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন উদ্যম ফাউন্ডেশন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ কর্তৃক বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনিনার রাঙামাটি শহরের কাটাছড়ি বন বিহারে বিনামূল্য রক্তগ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।

এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি আকিহিতো চাকমা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চিকিৎসক দীপু চাকমা, চিকিৎসক বিশ্ব চাকমা ও বিনামূল্যে সেবা গ্রহীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চিকিৎসক দীপু চাকমা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় উদ্যম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাটাছড়ি বন বিহারে ১২২ জনকে বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় এবং ২৫ জনকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।
এছাড়াও গত ১০ ই অক্টোবর রাজবিহারে ১১৭ জনকে বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।

সংগঠনটি ২রা আগষ্ট ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা শুরু থেকে বিনামূল্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবীমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বরকলে ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

বিলাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটিঃ

বরকল উপজেলার ১নং সুবলং ইউনিয়নের ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ই অক্টোবর) ১নং সুবলং ইউনিয়নের ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে ১২তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকে বিহার প্রাঙ্গণে শুরু হয় লোকসমাগম। বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিনয়পাল স্থবিরের সভাপতিত্বে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথি ভিক্ষুসংঘরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এছাড়াও ১নং সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অজয় কান্তি চাকমা, ধামাইছড়া মৌজা কার্বারী শ্যামরতন চাকমা, হাজাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিন্দু চাকমা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শত শত দায়ক-দায়িকা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, ধর্মীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা হয়। পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, সহস্র প্রদীপ দান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন, ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিনয়পাল স্থবির, ঢেবাছড়ি পূর্বারাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুমঙ্গল থের, অর্পণাচরন বন বিহারের অধ্যক্ষ মুক্তপ্রিয় মহাথের।

×