শিরোনাম:

পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক

পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি প্রতিনিধিঃ

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিলাইছড়িতে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক। শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই ইউএনও। সকালে তিনি জান্দি মোন সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়, বল্লালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংখোয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিস পরিদর্শন পূর্বক উপজেলার প্রধান শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মা ও অভিভাবক সমাবেশে যোগ দেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়ার মান যাচাই করেন এবং কিভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যায় তা অভিভাবক ও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। আর বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ও অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির কথা বলেন। নির্বাহী অফিসার সম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন কেংড়াছড়ি, কেরনছড়ি, আবাসিক, কুতুব দিয়া, মডেল সরকারি প্রা: বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়। এর আগেও পরিদর্শন করেছেন দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নে শুক্কর ছড়ি, যমুনা ছড়ি, ফারুয়া, আমকাটা ছড়াসহ ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়। তাঁর আকস্মিক পরিদর্শনে শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে বলে সকলে আশাবাদী। একই সঙ্গে তিনি ভোট কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, বিলাইছড়ি ইউ আর সি ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ বখতেয়ার হোসেন, বিলাইছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার, নিরালা কান্তি চাকমা, শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ও কাম হিসাব রক্ষক সিয়ামা পাংখোয়া, হিসাব সহকারী সসীম দাশ প্রমূখ।

কাপ্তাইয়ে দারুল উলুম বড়ইছড়ি নূরানী মাদ্রাসার ফল প্রকাশ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার

পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে দারুল উলুম বড়ইছড়ি নুরানী মাদ্রাসা’র বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার ১৫ (ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।দারুল উলুম বরইছড়ি মাদ্রাসার আয়োজনে এবং মাওলানা সোলায়মান এর পরিচালায় এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন।

এসময় তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সারা বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। এ সময় মেধা তালিকায় স্থান অধিকারী এবং বিভিন্ন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কৃতি শিক্ষার্থীরা পুরষ্কার গ্রহণ করে আনন্দে উদ্বেলিত হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কর্ণফুলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: দিলদার হোসেন, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বারেক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, সহকারী তথ্য অফিসার দোলোয়ার হোসেন, বিএফআইডিসি মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেন। এ সময় বক্তারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নুরানী শিক্ষা’র আহবান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথি’রা কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বান্দরবানের শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্র প্রদর্শনী।

পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক

বান্দরবান প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবানে আগামী ২০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে “রোয়া-দ্ব” শিরোনামে বান্দরবানের চিত্র শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্রকলা প্রদর্শণী। এটি শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শণী।

এ উপলক্ষে আজ (১৪ ডিসেম্বর) একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে শিল্পীর দীর্ঘদিনের শিল্পচর্চার নির্বাচিত চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। এসব চিত্রে শিল্প কর্মের ফোকাস হলো সেই ভূমি, মানুষ এবং প্রকৃতি, মানবজীবন, সমাজ ও সমসাময়িক বাস্তবতার নানা দিক রঙ ও রেখা। যা তার জন্মস্থানের গল্প  বহন করে।

এখানে শিরোনমা হিসেবে মারমা ভাষায় ‘রোয়া-দ্ব’ শব্দটি নেয়া হয়েছে।  মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় বান্দরবানকে ডাকা হয় “রোয়া-দ্ব”, যার অর্থ বহন করে ‘রোয়া’ অর্থ গ্রাম আর ‘দ্ব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় সম্মানার্থে। এরই মাধ্যমে শিল্পী তার সৃষ্টিকর্মে দর্শকদের সঙ্গে অনুভূতির এক গভীর সংযোগ স্থাপন করতে চান।

আয়োজক খিংসাই  জানান,  প্রদর্শনীটি ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তী ২০ ডিসেম্বর থেকে  ২২ ডিসেম্বর  পর্যন্ত প্রর্দশনী হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

এছাড়াও ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত শিশু শিল্পীদের প্রতিকৃতি অংকন ও সংগীত সন্ধ্যা। ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা হতে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি বাদ্যযন্ত্রের বিশেষ পরিবেশনা। ২২ ডিসেম্বর সমাপনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে চিত্র প্রর্দশবী অনুষ্ঠানটি শেষ হবে বলে জানান আয়োজক চিত্র শিল্পী খিংসাই মারমা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই শিল্পচর্চা করে যাচ্ছেন।  তিনি দেশ-বিদেশে, জাতীয়ভাবে একাধিক দলীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিলেও  এটি তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শন। বান্দরবানে যথাযথভাবে হওয়া এটাই প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। জল রং, তেল রং ও চারকোল মাধ্যমে আঁকা ছোট বড় মিলিয়ে  ৩২ টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এই একক প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পচর্চাকে উৎসাহিত করা এবং তরুণ প্রজন্মকে শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তোলাই মূল লক্ষ্য। শিল্প প্রেমী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিমনা দর্শকদের প্রদর্শনীটি পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পী ছাড়াও প্রদর্শনীর আয়োজক, শিল্প সমালোচক, সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে প্রদর্শনীটি সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় রাজস্থলীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেলিনা আক্তার। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তৎকালীন পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল নিরপরাধ মানুষের ওপর সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নওশাদ খান, থানা অফিসার ইনচার্জ খালেদ হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল নোমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রাজু, সাংবাদিক আজগর আলী খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শান্তি রতন চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্মৃতি চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুরুল ইসলাম এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা লিজা চাকমা।

এছাড়াও দিবসের কর্মসূচিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

×