শিরোনাম:

কারিগরি সমস্যার পর উৎপাদনে ফিরল কাপ্তাই কর্ণফূলী পেপার মিলস

কারিগরি সমস্যার পর উৎপাদনে ফিরল কাপ্তাই কর্ণফূলী পেপার মিলস

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা কারিগরি ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় দেশের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) পুনরায় উৎপাদনে ফিরেছে। মিলটি আবার সচল হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কারখানার ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউজে কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকদিন ধরে কাগজ উৎপাদন বন্ধ ছিল।

কেপিএম সূত্র জানায় যায়, কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়, যা সম্পূর্ণভাবে কর্ণফুলী নদী থেকে উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি উত্তোলনে সমস্যা দেখা দেয়। পানি সংকট নিরসনে পানি প্রবেশ পথ ম্যানুয়ালি খনন করা হয় এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন ব্যবস্থা আরও গভীরে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় কাগজ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি কাজে ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদা অনুযায়ী কেপিএমকে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ চাহিদার বিপরীতে এ পর্যন্ত ৫৩৭ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ মেট্রিক টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কেপিএম কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে জানিয়েছে,উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের বাকি চাহিদার কাগজ সরবরাহ সম্ভব হবে।

কাপ্তাইয়ে দারুল উলুম বড়ইছড়ি নূরানী মাদ্রাসার ফল প্রকাশ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার

কারিগরি সমস্যার পর উৎপাদনে ফিরল কাপ্তাই কর্ণফূলী পেপার মিলস

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে দারুল উলুম বড়ইছড়ি নুরানী মাদ্রাসা’র বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার ১৫ (ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।দারুল উলুম বরইছড়ি মাদ্রাসার আয়োজনে এবং মাওলানা সোলায়মান এর পরিচালায় এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন।

এসময় তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সারা বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। এ সময় মেধা তালিকায় স্থান অধিকারী এবং বিভিন্ন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কৃতি শিক্ষার্থীরা পুরষ্কার গ্রহণ করে আনন্দে উদ্বেলিত হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কর্ণফুলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: দিলদার হোসেন, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বারেক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, সহকারী তথ্য অফিসার দোলোয়ার হোসেন, বিএফআইডিসি মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেন। এ সময় বক্তারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নুরানী শিক্ষা’র আহবান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথি’রা কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বান্দরবানের শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্র প্রদর্শনী।

কারিগরি সমস্যার পর উৎপাদনে ফিরল কাপ্তাই কর্ণফূলী পেপার মিলস

বান্দরবান প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবানে আগামী ২০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে “রোয়া-দ্ব” শিরোনামে বান্দরবানের চিত্র শিল্পী খিংসাই এর একক চিত্রকলা প্রদর্শণী। এটি শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শণী।

এ উপলক্ষে আজ (১৪ ডিসেম্বর) একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে শিল্পীর দীর্ঘদিনের শিল্পচর্চার নির্বাচিত চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। এসব চিত্রে শিল্প কর্মের ফোকাস হলো সেই ভূমি, মানুষ এবং প্রকৃতি, মানবজীবন, সমাজ ও সমসাময়িক বাস্তবতার নানা দিক রঙ ও রেখা। যা তার জন্মস্থানের গল্প  বহন করে।

এখানে শিরোনমা হিসেবে মারমা ভাষায় ‘রোয়া-দ্ব’ শব্দটি নেয়া হয়েছে।  মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় বান্দরবানকে ডাকা হয় “রোয়া-দ্ব”, যার অর্থ বহন করে ‘রোয়া’ অর্থ গ্রাম আর ‘দ্ব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় সম্মানার্থে। এরই মাধ্যমে শিল্পী তার সৃষ্টিকর্মে দর্শকদের সঙ্গে অনুভূতির এক গভীর সংযোগ স্থাপন করতে চান।

আয়োজক খিংসাই  জানান,  প্রদর্শনীটি ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তী ২০ ডিসেম্বর থেকে  ২২ ডিসেম্বর  পর্যন্ত প্রর্দশনী হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

এছাড়াও ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত শিশু শিল্পীদের প্রতিকৃতি অংকন ও সংগীত সন্ধ্যা। ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা হতে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি বাদ্যযন্ত্রের বিশেষ পরিবেশনা। ২২ ডিসেম্বর সমাপনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে চিত্র প্রর্দশবী অনুষ্ঠানটি শেষ হবে বলে জানান আয়োজক চিত্র শিল্পী খিংসাই মারমা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই শিল্পচর্চা করে যাচ্ছেন।  তিনি দেশ-বিদেশে, জাতীয়ভাবে একাধিক দলীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিলেও  এটি তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শন। বান্দরবানে যথাযথভাবে হওয়া এটাই প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। জল রং, তেল রং ও চারকোল মাধ্যমে আঁকা ছোট বড় মিলিয়ে  ৩২ টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এই একক প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পচর্চাকে উৎসাহিত করা এবং তরুণ প্রজন্মকে শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তোলাই মূল লক্ষ্য। শিল্প প্রেমী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিমনা দর্শকদের প্রদর্শনীটি পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পী ছাড়াও প্রদর্শনীর আয়োজক, শিল্প সমালোচক, সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে প্রদর্শনীটি সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় রাজস্থলীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

কারিগরি সমস্যার পর উৎপাদনে ফিরল কাপ্তাই কর্ণফূলী পেপার মিলস

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৪ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেলিনা আক্তার। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তৎকালীন পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল নিরপরাধ মানুষের ওপর সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নওশাদ খান, থানা অফিসার ইনচার্জ খালেদ হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল নোমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রাজু, সাংবাদিক আজগর আলী খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শান্তি রতন চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্মৃতি চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুরুল ইসলাম এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা লিজা চাকমা।

এছাড়াও দিবসের কর্মসূচিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

×