শিরোনাম:

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কাপ্তাই ৫শ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রশাসনের চেষ্টা

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কাপ্তাই ৫শ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রশাসনের চেষ্টা

 

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর লগগেইট এবং ঢাকাইয়া কলোনির ৫শত পরিবার। ভারী বর্ষণ হলে যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে অতি বর্ষণের ফলে মাটি পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে এই এলাকায়। ফলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী জনসাধারণদের।

সোমবার (১ জুন) উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৫নং ওয়ার্ডের ঢাকাইয়া কলোনির ১৪ টি পরিবারের ৫০ জন সদস্য স্থানীয় কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ। তিনি আরোও জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রেড ক্রিসেন্ট এর সদস্য এবং কাপ্তাই তথ্য অফিসের প্রচার দল এই কার্যক্রমে সহায়তা করছেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান, এখন বৃষ্টির মৌসুম, ভারী বৃষ্টি হলে যেকোন সময় পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটতে পারে, তাই আমরা তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানাই। ইতিমধ্যে সোমবার (১ জুন) কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ টি পরিবারের ৫০ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ হতে তাদেরকে খাবার পরিবেশন করেছি।

কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদ বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার দিপুর নির্দেশনায় আমি কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনি, লগগেইট সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিদর্শন করেছি। এইসব এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছি।

দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কাপ্তাই ৫শ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রশাসনের চেষ্টা

 

রুপম চাকমা, দিঘীনালা:

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দীঘিনালা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা বিএনপি। 

শহীদ মিনারে আগমনের সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর সন্তানদের স্মরণে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। পরে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওসমান গনি, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২৭ পিএম

কাপ্তাইয়ের ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলা উদ্বোধন

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কাপ্তাই ৫শ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রশাসনের চেষ্টা

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। জাতির গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের এই মাসে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো এই বিশেষ মেলায়  রয়েছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রকমারি শিল্প পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের সমাহার।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রুহুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, মহান বিজয়ের মাসকে ঘিরে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো এ মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন। মেলায় মোট ২৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, রাঙ্গামাটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈচিত্র্যময় শিল্পপণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প।

উদ্ধোধন সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, কাপ্তাই সহকারী তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে। মেলার উদ্বোধন শেষে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, বিজয় মেলা–২০২৫ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিদ্যালয়ের পানির কল চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের পানির কল চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কাপ্তাই ৫শ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রশাসনের চেষ্টা

বাঙ্গালহালিয়ায় চুরির উপদ্রব বেড়ে চলেছে

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধি:

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের পাবনা টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের তালা ভেঙে সব পানির কল/টেপ চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণ ও সরকারি সম্পদও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইদানীং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছেসরা চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, নেশাগ্রস্ত কিছু ব্যক্তি এসব চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এলাকাবাসীর মতে, চুরি, মাদক সেবন ও মাদক কারবার একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রভাবশালী মহল অর্থের বিনিময়ে পরোক্ষভাবে এসব অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে জনমনে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চুরি, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর এবং নিরপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের একটাই প্রত্যাশা—দ্রুত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদক ও অপরাধমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন নিশ্চিত করা হোক।

এই বিষয়ের শিক্ষা অফিসার তাজরুল ইসলাম বলেন, পাবনাটিলা সঃপ্রাঃবিঃ রাস্তার পাশে অবস্থিত। বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর রয়েছে কিন্ত নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নেই। এই সুযোগে রাতে ওয়াশব্লকের পানির ট্যাপ চুরি হয়েছে।বিষয়টি খুবই দূঃখজনক।  এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা প্রয়োজন।

এলাকাবাসীর মতে, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হবে জানান।

×