শিরোনাম:

রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের পাহাড় ধস, দেয়াল স্থাপনের দাবি

রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের পাহাড় ধস, দেয়াল স্থাপনের দাবি

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নন্দন বৌদ্ধ বিহারটিতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাশের পাহাড়ের মাটি ধসে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ধস ঠেকাতে আপাতত সাদা পাতলা পলিথিন বিছিয়ে চেষ্টা চালাবেন বলে বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উজ্বল কান্তি তনচংগ্যা জানান।

সোমবার (৩ জুন) সকালে ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য উদয় তনচংগ্যা, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সদস্য সচিব উজ্বল কান্তি তনচংগ্যা সহ গণমাধ্যম কর্মীগন ভাঙ্গনের কবলে বিহারটি পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, রাজস্থলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের নবনির্মিত দ্বিতলা বিশিষ্ট বিহারটি প্রায় সমাজের বিত্তবানের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত হয়। পাশাপাশি ঘিলামুখ রাস্তার মাথায় পাহাড়ের উপরে নির্মিত একটি ৪৫ ফুট বৌদ্ধ মুর্তি ন্থাপন করে এ উপজেলার মধ্যে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপন করেছে। বৌদ্ধ মুর্তিটি দেখতে তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্রগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ধর্মীয় গুরু ও দায়ক-দায়িকাগণ দর্শন করতে আসেন।

এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, টানা তিন দিন প্রবল ভারী বর্ষণে রাজস্থলী বাজার মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এটি একটি বড় প্রকল্প। আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বড় গ্রেটওয়াল নির্মাণ করা যায় কিনা চেষ্টা অব্যাহত রাখব। তবে বিষয়টি খুবই জরুরী। দুঃখের বিষয় টানা বর্ষণে বিহারের পাশে মাটি ধসে গিয়ে বিহারটি যে কোন সময় ধসে পড়তে পাড়ে।

বিষয়টি পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীব ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদারের নজরে আনার জন্য দাবি জানান।

ছবি ক্যাপসনঃ রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে প্রবল বর্ষণে মাটি ধসে পড়েছে। বিহারটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা। 

দীঘিনালায় বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের পাহাড় ধস, দেয়াল স্থাপনের দাবি

 

রুপম চাকমা, দিঘীনালা:

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দীঘিনালা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা বিএনপি। 

শহীদ মিনারে আগমনের সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর সন্তানদের স্মরণে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। পরে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওসমান গনি, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২৭ পিএম

কাপ্তাইয়ের ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলা উদ্বোধন

রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের পাহাড় ধস, দেয়াল স্থাপনের দাবি

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। জাতির গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের এই মাসে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো এই বিশেষ মেলায়  রয়েছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রকমারি শিল্প পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের সমাহার।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রুহুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, মহান বিজয়ের মাসকে ঘিরে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো এ মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন। মেলায় মোট ২৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, রাঙ্গামাটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈচিত্র্যময় শিল্পপণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প।

উদ্ধোধন সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, কাপ্তাই সহকারী তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে। মেলার উদ্বোধন শেষে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, বিজয় মেলা–২০২৫ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিদ্যালয়ের পানির কল চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের পানির কল চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী

রাজস্থলী বাজার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের পাহাড় ধস, দেয়াল স্থাপনের দাবি

বাঙ্গালহালিয়ায় চুরির উপদ্রব বেড়ে চলেছে

 

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধি:

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের পাবনা টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের তালা ভেঙে সব পানির কল/টেপ চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণ ও সরকারি সম্পদও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইদানীং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছেসরা চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, নেশাগ্রস্ত কিছু ব্যক্তি এসব চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এলাকাবাসীর মতে, চুরি, মাদক সেবন ও মাদক কারবার একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রভাবশালী মহল অর্থের বিনিময়ে পরোক্ষভাবে এসব অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে জনমনে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চুরি, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর এবং নিরপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের একটাই প্রত্যাশা—দ্রুত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদক ও অপরাধমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন নিশ্চিত করা হোক।

এই বিষয়ের শিক্ষা অফিসার তাজরুল ইসলাম বলেন, পাবনাটিলা সঃপ্রাঃবিঃ রাস্তার পাশে অবস্থিত। বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর রয়েছে কিন্ত নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নেই। এই সুযোগে রাতে ওয়াশব্লকের পানির ট্যাপ চুরি হয়েছে।বিষয়টি খুবই দূঃখজনক।  এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা প্রয়োজন।

এলাকাবাসীর মতে, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হবে জানান।

×