রাজস্থলীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত— জাতীয় মর্যাদায় বর্ণিল আয়োজনের প্রস্তুতি
উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ
মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সেলিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে উপজেলা মডেল মসজিদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। উপজেলা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রাজস্থলী বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা অনুষ্ঠিত হবে বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। মেলায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।
উপজেলা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সেলিনা আক্তার বলেন—“মহান বিজয় দিবস শুধু উৎসব নয়; এটি আমাদের স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদা ও জাতির গৌরবের দিন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকলের সহযোগিতায় দিবসটি শান্তিপূর্ণ ও বর্ণিলভাবে উদযাপিত হবে।”
রাজস্থলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মাহমুদ বলেন—“বিজয় দিবসের সকল অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নিরাপত্তায় কোনো ধরনের শৈথিল্য থাকবে না।”
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রাজু সভায় বলেন—“জাতীয় দিবস উদযাপন দেশের প্রতি নাগরিক দায়িত্ব ও ভালোবাসাকে আরও দৃঢ় করে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
সাংবাদিক আজগর আলী খান বলেন—“বিজয় দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। সংবাদকর্মীরা সত্যনিষ্ঠভাবে দিনব্যাপী সব আয়োজন প্রচারে ভূমিকা রাখবে।”
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, হেডম্যান, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজস্থলীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।


















