শিরোনাম:

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সারা দেশের ন্যায় বিলাইছড়িতেও শোক পালন

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সারা দেশের ন্যায় বিলাইছড়িতেও শোক পালন

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা, প্রতিবাদী তারুণ্যের প্রতীক ও ইনকিলাব মঞ্চের মূখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যুতে অন্তর্বতীকালীন সরকার গভীরভাবে শোকাহত। সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, তাঁর মৃত্যুতে শনিবার ২০ ডিসেম্বর ’২৫ রাষ্ট্রীভাবে শোক পালন করবে। তারই ধারাবাহিকতায় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসনাত জাহান খান এঁর নির্দেশে ভোরে উপজেলার সকল সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

দেখা গেছে, উপজেলা প্রশাসন বিলাইছড়ি, উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়, বিলাইছড়ি থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপজেলা প্রেসক্লাব, বিলাইছড়ি কলেজ, বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, সমাজ সেবা অফিস, কৃষি অফিস, নির্বাচন অফিস, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিলফ্লাওয়ার, ব্রাক অফিস, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান।

কাপ্তাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক সাঙ্গু ২৫ বছরে পদার্পণ উৎসব উদযাপন

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সারা দেশের ন্যায় বিলাইছড়িতেও শোক পালন

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের পাঠকনন্দিত ও জনপ্রিয় মুখপত্র দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাপ্তাই পাথক ফোরাম -এর উদ্যোগে আয়োজিত ​কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালী এন্ড পড হাউস কনফারেন্স রুমে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ও  উৎসবমুখর পরিবেশে রজত জয়ন্তী উদযাপন করা হয়।

এরপর আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সাঙ্গু’ কাপ্তাই প্রতিনিধি রবিউল হোসেন চৌধুরী রিপন। মু. ওসমান গনি তনু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক কবির হোসেন সিদ্দিকী। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ও কাপ্তাই সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টিয়ান হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ প্রবির খিয়াং, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা জামায়াতে আমীর হারুনুর রসিদ, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ স্বপন, রাঙ্গামাটি জেলার শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো: কবিরুল ইসলাম, মামনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচালক ও সমাজ সেবক দীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সময় টিভি ও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা প্রতিনিধি মাহফুজ আলম, সি প্লাস টিভি কাপ্তাই প্রতিনিধি ঝুলন দত্ত, রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আইয়ুব চৌধুরী, দৈনিক পূর্বদেশ প্রতিনিধি মো: নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও সমাজ সেবক ইব্রাহিম হাবিব মিলু, কাপ্তাই উপজেলা জাসাস মো: ওমর ফারুক, কাপ্তাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব মো: রফিক, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলা যুগ্ম সম্পাদক হ্লাসুইমং মারমা (মং), বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কাপ্তাই অঞ্চল সভাপতি অজিত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ৭১ টিভি ও দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকা প্রতিনিধি রিপন মারমা, দৈনিক আজাদী পত্রিকা মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি অর্ণব মল্লিক, সাংবাদিক মেজবাহ, দৈনিক আলোকিত পাহাড় পত্রিকা প্রতিনিধি এম বাবুল, চিৎমরম ইউনিয়নের সমাজ সেবক সাচিংউ মারমা, ইউপি সদস্য অংসাচিং মারমা, কাপ্তাই তরুন উদ্যোক্তা বীর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, চট্টগ্রাম টিভি শিল্পী লিপি দাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দৈনিক সাঙ্গু দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি জনপদ ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার আদায়ে পত্রিকাটি সাহসী ভূমিকা রাখছে। আগামীতেও সাঙ্গু তার এই গৌরবের পথচলা অব্যাহত রাখবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার জরুরি

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সারা দেশের ন্যায় বিলাইছড়িতেও শোক পালন

কাপ্তাইয়ে বন্যহাতি আক্রমণে ৬ মাসে ৩ জনের মৃত্যু, সোলার ফেন্সিং ও সতর্কতায় বন বিভাগের কড়া নজরদারি

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সারা দেশের ন্যায় বিলাইছড়িতেও শোক পালন

 

রিপন মারমা, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। কখনো রাতে, আবার কখনো দুপুরে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্য হাতির পাল। হাতির আতঙ্কে দিনরাত উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যানবাহন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, গাড়ি চালকরাও রয়েছেন আতঙ্কে।শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও হাতির আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কে বন্য হাতির উপস্থিতির কারণে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

বন বিভাগের তথ্যমতে, গত ৬ মাসে হাতির আক্রমণে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এই প্রাণহানি ঠেকাতে এবং পর্যটকসহ স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাপ্তাই বন বিভাগ ‘সোলার ফেন্সিং’ সচল করার পাশাপাশি সড়কে রং দিয়ে বিশেষ সতর্কতা সংকেত ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে।কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়ক এবং কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় হাতির আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। গত নভেম্বর মাসে একই দিনে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী হাতির আক্রমণে নিহত হন। এর আগে বছরের শুরুতে আরও একজন ব্যক্তি হাতির কবলে পড়ে প্রাণ হারান। মূলত সন্ধ্যার পর এবং ভোরে হাতির পাল লোকালয়ে ও প্রধান সড়কে চলে আসায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।সোলার ফেন্সিং ও আধুনিক সুরক্ষা হাতিকে লোকালয় থেকে দূরে রাখতে বন বিভাগ কাপ্তাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ৮ কিলোমিটার ব্যাপী সোলার ফেন্সিং (Solar Fencing) কার্যক্রম জোরদার করেছে।সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে এই ফেন্সিংয়ে মৃদু বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয়, যা হাতিকে আঘাত না করে কেবল ভয় দেখিয়ে বনে ফিরিয়ে দেয়।যান্ত্রিক ত্রুটি সরিয়ে বর্তমানে ফেন্সিংটি পুরোদমে সচল রয়েছে, যা বন সংলগ্ন বসতিগুলোর জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কের রাইন্যাটুকুন এলাকা, প্রশান্তি পার্ক এলাকা, সীতা পাহাড়, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের প্রবেশমুখ, নৌবাহিনী সড়ক, কামিল্লাছড়ি-আসামবস্তি, রাইখালি, কারিগর পাড়া, খন্তাকাটা ও ব্যাঙছড়ি এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ে হাতির খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্য হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেক সময় একেক জায়গা দিয়ে তারা চলাচল করছে।

কাপ্তাই একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হওয়ায় সড়কে রং ও পর্যটকদের জন্য সতর্কতা বহিরাগত পর্যটকদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। যেসব স্থান দিয়ে নিয়মিত হাতি পারাপার হয় (এলিফ্যান্ট করিডোর), সেসব স্থানে উজ্জ্বল রঙের সংকেত ও সতর্কতা হাতি ও মানুষের সংঘর্ষ এড়াতে কাপ্তাই-আসামবস্তী ও নৌবাহিনীর প্রধান সড়কের পিচঢালা পথে দিয়ে বড় বড় অক্ষরে ‘সাবধান, হাতি চলাচলের পথ’ লিখে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বন বিভাগ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। হাতি দেখলে হর্ন না বাজাতে, ছবি তুলতে বা ফ্ল্যাশ ব্যবহার না করতে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বনের প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নতুন করে বড় বড় সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: ওমর ফারুক স্বাধীন জানান, “আমরা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সোলার ফেন্সিং নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে এবং সড়কে রং দিয়ে চিহ্নিত করার ফলে চালকরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তবে পর্যটকদের বনের ভেতরে একা না যাওয়ার জন্য এবং নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

“পার্বত্য চট্টগ্রামের এই প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বন বিভাগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতাই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

×