শিরোনাম:

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত !

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত !

 

চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

বান্দরবানের থানচিতে জুমচাষীদের পাহাড়ের ঢালে উৎপাদিত জুমের পাকা ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এবছর সময়মতো বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো। ধান কাটার এই উৎসবে ঘিরে এখন গোটা উপজেলাজুড়ে জুমচাষীদের চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ।

স্থানীয় জুমচাষীদের ভাষ্যমতে, পাহাড়ি আদিবাসীদের জুমের শুধু ধান নয়, জুমক্ষেতে একসঙ্গেই ফলানো হয় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ রকমের সাথী ফসল। ধান কাটার আগে থেকেই শুরু হয়– জুমের ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, সাদা কুমড়া, ঢেঁড়স, করল্লা, টকপাতা, মারফা, তিল ও ওলকচুসহ বিভিন্ন সবজি সংগ্রহের কাজ। এখন জুমচাষিরা ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করেছে।

জানা গেছে, প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে জমি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। জানুয়ারিতে জঙ্গল কেটে, মার্চ-এপ্রিলে তা শুকিয়ে পোড়ানো হয়। এপ্রিল-মে মাসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হলে বপন করা হতো ধানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের সাথী ফসল। আগস্টের শেষ থেকে শুরু ধান কাটা, চলে অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ঘরে ঘরে পালিত হবে নবান্ন উৎসব।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছর (বর্তমান মৌসুম) আবাদ হয়েছে প্রায় ২,১৩৬ হেক্টরে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩,১৫৮ মেট্রিক টন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, থানচি সদরে আশেপাশে চাইয়াং পাড়া, ছান্দাক পাড়া, মেকহা পাড়া, সুব্রাইনী পাড়া, আপ্রুমং পাড়া, হালিরাম পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের জুমচাষীদের জুমের ধান কাটার শুরু করেছে। এবং উপজেলা সদরসহ বলিপাড়া, তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নের কারো কারো জুমের ধান পাকা শুরু আবার কাটাও শুরু করেছেন জুমচাষিরা।

জুমচাষি মেনলে ম্রো:, খয়মংপ্রু মারমা, রাঙতোয়া ত্রিপুরাসহ অনেকেই বলেছেন, এবছরে যথাসময়ে বৃষ্টি ও রোদের কারণে ফলন মোটামুটি ভালো হচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংরক্ষণ করে আসছেন স্থানীয় ধানের জাত— বড় ধান, মংথং, গেলন, কংপ্রক, পিডি, কালো বিন্নি, লাল বিন্নি ইত্যাদি জাতের ধান। পাহাড়ি এই ঐতিহ্য আজও জীবন্ত জুম আবাদে। পাহাড়ে জুমক্ষেতে এখন সোনালি রঙে রঙিন— থানচির দুর্গম জনপদে এ যেন ফসল উৎসব। জুম আবাদ শুধু ফসল নয়, এটিই আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরও অঙ্গ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার বিশ্বজিৎ দাশ গুপ্ত বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। তাতেই সাঙ্গু নদীর তীরে ধানের রোপনসহ জুমের ফলন ভালো হয়েছে। এবছরে জুমচাষীদের জুমফসল আশানুরূপ হবে বলে জানান তিনি।

থানচি উপজেলা কৃষি অফিসার মো: ওয়ালিদ হোসেন জানান, পাহাড়ি জুমখেতের পাকা ধানের কাটা শুরু করেছে। দুর্গম এলাকায় তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নেও জুমের ধান ফলন ভালো হয়েছে। যথাসময়ে বৃষ্টি আর রোদের কারণে চাষিদের এবছরের আশানুরূপ জুমফলন পাবে।

দেশে এখন দূর্যোগপূর্ন সময় পার হচ্ছে– মংশৈ ম্রাই

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত !

 

চিংথোয়াই অং মার্মা,
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বান্দরবান জেলা আহবায়ক কমিটি সদস্য মংশৈ ম্রাই বলেছেন– দেশের আইন শৃঙ্খলা অবনতি, দ্রব্যমূল্য সীমাহীন, উচ্চ গতিতে বেকার সমস্যা বাড়ছে দিন দিন। দেশে এখন দূর্যোগপূর্ন সময় পার হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ শূণ্য কোটায়। সব মিলে হযবরল অবস্থা তাই এই সরকারের উচিত দ্রুত সময়ের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে সঠিক সময়ে মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতা মসনদে আসীন হবে কারণ দেশে জনগণের এখন বুঝে জনবান্ধন দল হচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতা আসলে পাহাড়ের ও উন্নয়নে জোয়ার চলে আসবে। সম্প্রতিক গত বৃহস্পতিবার সকালে তিন্দু ইউনিয়নের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় সকল নেতাকর্মীদের উদ্দাত্ত আহ্বান জানিয়ে মংশৈ ম্রাই আরো বলেছেন, দূর্গম অঞ্চলে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এবং গ্রুপিং রাজনীতি পরিহার করে দেশ নায়ক তারেক রহমান নির্দেশ পালন করতে হবে। আসছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ে অবস্থানরত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি শৈবাথোয়াই মারমা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি উবামং মারমা, উচমং মারমা, ক্যসানু মারমা, কৃষক দলের আহবায়ক মংসাগ্য মারমা, চসিংমং মারমা প্রমূখ।

এছাড়াও তিন্দু ইউপি মেম্বার ও যুব দলের নেতা উহ্লামং মারমা, সাবেক মেম্বার হ্লাথোয়াইচিং মারমাসহ বিএনপি দলে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন উদ্যম ফাউন্ডেশনের বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত !

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটিঃ

সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন উদ্যম ফাউন্ডেশন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ কর্তৃক বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনিনার রাঙামাটি শহরের কাটাছড়ি বন বিহারে বিনামূল্য রক্তগ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।

এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি আকিহিতো চাকমা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চিকিৎসক দীপু চাকমা, চিকিৎসক বিশ্ব চাকমা ও বিনামূল্যে সেবা গ্রহীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চিকিৎসক দীপু চাকমা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় উদ্যম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাটাছড়ি বন বিহারে ১২২ জনকে বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় এবং ২৫ জনকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।
এছাড়াও গত ১০ ই অক্টোবর রাজবিহারে ১১৭ জনকে বিনামূল্যে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।

সংগঠনটি ২রা আগষ্ট ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা শুরু থেকে বিনামূল্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, রক্ত গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবীমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বরকলে ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

পাহাড়ের ঢালে সোনালি রঙে দুলছে ধানের ক্ষেত !

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটিঃ

বরকল উপজেলার ১নং সুবলং ইউনিয়নের ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ই অক্টোবর) ১নং সুবলং ইউনিয়নের ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে ১২তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকে বিহার প্রাঙ্গণে শুরু হয় লোকসমাগম। বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিনয়পাল স্থবিরের সভাপতিত্বে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথি ভিক্ষুসংঘরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এছাড়াও ১নং সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অজয় কান্তি চাকমা, ধামাইছড়া মৌজা কার্বারী শ্যামরতন চাকমা, হাজাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিন্দু চাকমা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শত শত দায়ক-দায়িকা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, ধর্মীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা হয়। পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, সহস্র প্রদীপ দান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন, ধামাইছড়া ঐক্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিনয়পাল স্থবির, ঢেবাছড়ি পূর্বারাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুমঙ্গল থের, অর্পণাচরন বন বিহারের অধ্যক্ষ মুক্তপ্রিয় মহাথের।

×