থানচিতে আড়াই বছরেও শেষ হয়নি স্কুল ভবন— বৌদ্ধ বিহারের নিচতলায় চলছে ক্লাস
চিংথোয়াই অং মার্মা,
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের থানচিতে নারিকেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ধীরগতি– বছর দেড় নয়, পুরো আড়াই বছর ধরে বেশি কাজ চলছে। দফায় দফায় বন্ধ করে চালিয়ে আসলেও বর্তমানে কয়েক মাস ধরে এখনো বন্ধ। এরই মধ্যে শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাশের বৌদ্ধ বিহারের নিচতলায় খোলা ফ্লোরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
স্থানীয়রা জানান, নতুন ভবনে নির্মাণধীনে নারিকেল পাড়া বৌদ্ধ বিহারের নিচতলার খোলা ফ্লোর এখন ‘অস্থায়ী স্কুল’। মেঝেতেই ক্লাস করে শিশুরা—শীত, বৃষ্টি, রোদ—সব ঋতুতেই পড়তে হয় খোলা পরিবেশে। অস্থায়ী স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে শিক্ষকদেরও। তাই স্কুল ভবন নির্মাণের দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে দাবির স্থানীয়দের।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। পরে ঝুঁকিপূর্ণ টিনশেড ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন ২০২২ সালে জুনের। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে কথা থাকলেও আড়াই বছরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে– এখনো ভবনের নির্মাণে অপূর্ণ।
সম্প্রীতি সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নারিকেল পাড়া সরকারি স্কুলের নতুন ভবনে নির্মাণধীনে বৌদ্ধ বিহারে নিচতলায় খোলা ফ্লোরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, নেই নিরাপদ পরিবেশ।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানান, ২০২২ সালের জুনে শুরু হয় এই দু,তলা ভবন নির্মাণের কাজ। বছর দেড় নয়—পুরো আড়াই বছর পেরিয়েও কাজের অগ্রগতি ‘ঢিমেতালে’। প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারই প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে এগোয়নি খুব বেশি কিছু। শুরু থেকে দফায় দফায় বন্ধ রেখে করেছে কাজ। শেষ পর্যায়ে এসেও এখন কয়েক মাস ধরে পুরোদমে বন্ধ রয়েছে কাজ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোনা মিত্র চাকমা জানান, স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণধীনে কাজ বেশ কিছুদিন যাবৎ বন্ধ ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা পরিবেশ পাচ্ছে না, দ্রুতভাবে নির্মাণে কাজ সম্পন্ন করতে এলজিইডি দপ্তরের অনুরোধ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অভিহিত করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো: আবু হানিফ জানান, আমি জুনের শেষে দিকে দায়িত্ব পেয়েছি, অবশ্যই স্কুল ভবনে কাজ বন্ধ ছিল। এর আগে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু হয়নি। তবে নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যেই ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।














